বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আনন্দ-বিনোদন ছাড়া জীবন বেঁচে থাকে? জীবন মরূদ্যান হয়ে যেতে পারে যদি আনন্দ-বিনোদন-ভালবাসা না থাকে। ভালবাসা শব্দটা খুব সহজ নয়, ওটা অনুভব করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা মুখে বলুক আর না বলুক, আমি বলি আর না বলি কিন্তু এটা তো ঠিক ছাত্র অবস্থাতে যৌবনের উম্মাদনা বৃদ্ধি হয়। মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণসায়র পার্কে ৩ থেকে ১২ জানুয়ারী কৃষ্ণসায়র উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই ভালবাসার কথা শুনিয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা অভিনেতা স্বপন দেবনাথ। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক যাত্রাপালায় শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন স্বপন বাবু। এদিন কৃষ্ণসায়র উৎসবে এসে যেভাবে তিনি ভালবাসার কথা শুনিয়েছেন তা নিয়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এদিন বলেন, অনেকেই বলেন, মেলা মানে প্রাণের মেলা, মেলা মানে মনের মেলা। এর সাথে আমি যুক্ত করছি মেলা মানে ভালবাসারাও মেলা। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আছেন ভালোবাসা ছাড়া জীবন কাটে? আর ভালবাসার কোনও বয়স হতে পারেনা বলে আমি মনে করি। যুবকরাই ভালবাসার কথা বলবে আর বৃদ্ধরা বলবে না -এটা হতে পারে? কৃষ্ণসায়র কিন্তু সবাইকে এক করে দিয়েছে। গোলাপবাগ, তারাবাগ, কৃষ্ণসায়র, মোহনবাগান মাঠ বিস্তৃর্ণ এলাকা -এর পরিধি সম্পর্কে অনেকের ধারণা আছে। সাংবাদিকরা এই মেলা-খেলা নিয়ে অনেক সময় কটাক্ষ করেন। মেলা তো আনন্দ দেয়। একটা বিনোদন। আনন্দ-বিনোদন ছাড়া জীবন বেঁচে থাকে? জীবন মরূদ্যান হয়ে যেতে পারে যদি আনন্দ-বিনোদন-ভালবাসা না থাকে। ভালবাসা শব্দটা খুব সহজ নয়, ওটা অনুভব করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা মুখে বলুক আর না বলুক, আমি বলি আর না বলি কিন্তু এটা তো ঠিক ছাত্র অবস্থাতে যৌবনের উম্মাদনা বৃদ্ধি হয়। সারা বছর মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণা, হতাশা সব কিছু থাকে। কিন্তু কৃষ্ণসায়রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থেকে সব ভুলে যেতে পারে। এদিন এই কৃষ্ণসায়র উৎসব ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিমাই সাহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, খোকন দাস, অলোক মাঝি, বর্ধমান পুরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার-সহ অন্যান্যরা।