Site icon E Purba Bardhaman

স্কুলে নিরাপত্তা নেই, এই অভিযোগ তুলে ৭২ জন ছাত্রছাত্রীর গণবদলীর আবেদন

There is no security in the school. 72 students apply for mass transfers

বিপুন ভট্টাচার্য, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বহিরাগতদের হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকরা গণবদলীর দাবী জানালো স্কুলে। শুক্রবার ভাতারের মাহাতা হাই স্কুলের ৭২ জন ছাত্র-ছাত্রী গণ টিসির আবেদন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মাহাতা হাইস্কুলে। গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ভাতারের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, কলেজ এবং রাজনৈতিক দল শিক্ষক দিবসে মেতে উঠেছিলেন। বিভিন্ন স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। একইভাবে মাহাতা হাইস্কুলেও আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অভিভাবক ও ছাত্রদের অভিযোগ, এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ই কিছু বহিরাগত স্কুলে ঢুকে প্রথমে ছাত্রদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ব্যাপক মারপিটও হয়। এই ঘটনায় অভিভাবক সহ ১৭ জন আহত হয়। এদিন অভিভাবক সহ ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনায় আশ্চর্যরকম নিরব স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এদিন পর্যন্ত ওই সমস্ত আক্রান্ত ছাত্র ছাত্রীর কোন খোঁজ খবরও নেওয়া হয় নি। এমনকি এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগও দায়ের করেনি থানায়। আর স্কুল কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতির ঘটনায় শুক্রবার স্কুলে আসেন ভাতার থানার নবাবনগর এলাকার অনেক অভিভাবক। তাঁরা জানান, তাঁদের ছেলে মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তাঁরা এই স্কুল থেকে অন্য স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করবেন। এই ৭২ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীও রয়েছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে একসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের এই টিসির আবেদনকে ঘিরে এদিন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এব্যাপারে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার দত্ত জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অভিভাবকদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনার সময় তিনিই একজন অভিভাবককে বেধড়ক মারধোর করার সময় তিনি নিজে তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান। এর ফলে তিনিও আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং ওড়গ্রাম ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। অভিভাবকদের টিসি দেবার ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী সোমবার তাঁদের আসতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তিনি জেনেছেন, ঝুলনের সময় নবাবনগরের সঙ্গে মাহাতা গ্রামের ছেলেদের মধ্যে অশান্তি হয়। তারপর থেকেই দুটি গ্রামের মধ্যে সমস্যা চলছিল। শিক্ষক দিবসের দিন নবাবনগরের কয়েকজন স্কুলে আসলে মাহাতা গ্রামের কয়েকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। তবে সমস্ত ঘটনাই ঘটে স্কুলের বাইরে।

Exit mobile version