বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রায়না থানার জোতসাদি গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আরও ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শেখ সেলিম, আলাউদ্দিন মণ্ডল ওরফে মিঠু ও সাবির মণ্ডল। জোতসাদি গ্রামেই সেলিমের বাড়ি। ঘটনায় সে অন্যতম অভিযুক্ত। ঘটনার পর সে গা ঢাকা দেয়। পুলিশি হেপাজতে থাকা আবেল মির্জা ও শেখ সওদাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার হদিশ পায় পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে ভাতার থানার শিকারপুর থেকে পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। আলাউদ্দিন ও সাবিরের বাড়ি রায়না থানার শিবপুর গ্রামে। রবিবার সকালে রায়না থানার মধুবন গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পেতে এবং বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সেলিমকে ১৪ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার দেবাশিস সামন্ত। তাকে ৯ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম রঞ্জিনী কাশ্যপ। বাকি দু’জনকে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে ৩ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, জোরে বাইক চালানোকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। তার মীমাংসা করার জন্য সেদিনই সন্ধ্যায় শাসকদদের পার্টি অফিসে আলোচনা সভা ডাকা হয়। তাতে মীমাংসা না হওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। গণ্ডগোল চলাকালীন বোমাবাজি হয়। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামের যুবক আনিসুর মল্লিক। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত ঘটনায় ১৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল।