বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- লোকসভা ভোট দরজায় কড়া নেড়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির ভোট যুদ্ধের লড়াই। খোদ বর্ধমান শহর তথা বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা আসনে সেভাবে ভোটের পারদ না চড়লেও শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করল। রবিবার রাতে বর্ধমান শহরের ১৬নং ওয়ার্ডের মীরছোবা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একদল সমর্থক দলীয় প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে অন্য গোষ্ঠী তাদের ওপর ব্যাপকভাবে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় ৫জন তৃণমূল সমর্থক জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে শেখ ইনসান, মুন্না শর্মা ও বাবিন দাসের আঘাত গুরুতর। ৩জনকে গভীর রাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে কলকাতায় পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহত তৃণমূল সমর্থক তথা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা মুন্না শর্মা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁরা তেলিপুকুর এলাকায় দেওয়াল লিখে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নাড়ু ভগত গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের দাঁড়াতে বলে। এরপরই তাঁদের ওপর লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। কি কারণে তাঁদের মারধর করা হল সে ব্যাপারে মুন্না শর্মা কিছু জানাতে পারেননি। যদিও এব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নাড়ু ভগতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, বর্ধমান শহর ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাস বিহারী হালদার জানিয়েছেন, তৃণমূলের কোনো গোষ্ঠী নেই। এটা কোনো গোষ্ঠী সংঘর্ষও নয়। তিনি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতিরা হামলা চালিয়ে তাঁদের দলীয় সমর্থকদের ওপর। তবে কি কারণে এই হামলা সে ব্যাপারে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ নং ওয়ার্ডে ২০১৩ সাল থেকে নাড়ু ভগত এবং রাসবিহারী হালদার দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। সম্প্রতি নাড়ু ভগতের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, সেই ঘটনার জেরেই রবিবার রাতে হামলা হয়েছে রাসবিহারী গোষ্ঠীর সমর্থকদের ওপর। অন্যদিকে, আহত মুন্না শর্মা জানিয়েছেন তৃণমূলেরই আর এক গোষ্ঠী তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রড লাঠি বাঁশ দিয়ে আঘাত করেছে। আহতদের পক্ষ থেকে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভোটের মুখে খোদ বর্ধমান শহরে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।