বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অপারেশন মুশকানের’ বদলে এবছরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হল ‘অপারেশন আনন্দ’। রবিবার থেকে শুরু হল পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই কর্মসুচী। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে চলতি ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোট ৬৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। চলতি জুলাই মাস জুড়েই এই নিখোঁজদের খুঁজে বার করে তাদের হয় পরিবারের হাতে অথবা তাদের সরকারী হোমে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরেই বছরের এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার অপারেশন মুশকান নামে একটি কর্মসূচী পালন করে আসছিলেন। কিন্তু এবারে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তেমন কোনো নির্দেশিকা না আসায় এবছর থেকে রাজ্য সরকার অপারেশন আনন্দ নামে এই কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। যার মূল লক্ষ্য – নিখোঁজদের যথাসম্ভব খুঁজে বার করা এবং কি কারণে তাঁরা নিখোঁজ সে বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরী করা। দেখা গেছে, অনেক সময়ই পরিবারের অত্যাচারে শিশুরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আবার রোজগারের আশাতেও তারা বাড়ি ছাড়ে গোপনে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নিখোঁজ ডায়রীও করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০১৪সালের একটি ঘটনা ছাড়া ২০১৫ সাল থেকে চলতি ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬২জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে কালনা মহকুমা এবংবর্ধমান সদর মহকুমাতেই নিখোঁজের সংখ্যা বেশি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত একটানা জেলা পুলিশের সমস্ত থানাকে এব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। এলাকায় এলাকায় পদযাত্রা, মাইকিং করার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এব্যাপারে সচেতন করার জন্য বাজার তথা জনবহুল এলাকা বাসস্ট্যাণ্ট, ষ্টেশন প্রভৃতি এলাকাতে ব্যাপকভাবে প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ানোর জন্য ভাল কাজের নিরিখে পুরষ্কার দেবার ঘোষণাও করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন নিখোঁজ সংখ্যাকে একেবারে শূন্য করার। সেজন্যই সমস্ত থানার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে তাঁদের তা জানিয়ে দেওয়া হ