বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বুধবার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে অভিযান শুরু করেছে টাস্কফোর্স। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বর্ধমান শহর ও শহরতলি এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালায় কৃষি বিপণন বিভাগ, রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি এবং পুলিশকে নিয়ে যৌথ ভাবে তৈরি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। এদিন বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার ও রাণীগঞ্জ বাজারে বেশী দাম নেওয়ায় এক বিক্রেতাকে টাকা ফেরতও দেওয়া করালেন অফিসাররা। টাস্ক ফোর্সের অভিযান শুরু হতেই বাজারে একধাক্কায় সবজির দাম অনেকটাই নিম্নমুখী হতে শুরু করে দিল। যদিও এব্যাপারে ক্রেতাদের দাবি হঠাৎ করে একদিন বা দু’দিন নয়, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত এই মনিটরিং করা দরকার। এদিকে, গত কয়েকমাস ধরে বাজারে কাঁচা শাক সবজির দাম নাগাল ছাড়া দাম চলার পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হুঁশ ফিরল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকার সিধু কানহু পার্কে অস্থায়ীভাবে আলু, পিঁয়াজ-সহ কিছু সবজি বিক্রি শুরু করা হল। যা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সাধারণ ক্রেতারা। এদিন সকাল ৮টা নাগাদ সিধু কানহু পার্কে আলু ২৫ টাকা, পিঁয়াজ ৩০ টাকা, ঝিঙে ৩২ টাকা, উচ্ছে ৪৮ টাকা, বেগুন ৪৮ টাকা, পটল ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ভেন্ডি ১৬ টাকা এবং পেঁপে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। যদিও এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ১ ঘণ্টার মধ্যেই মজুদ সবজি শেষ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। শুধু এটাই নয়, জেলা পরিষদের এই উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানালেও সমস্যা দেখা দিয়েছে কতদিন বিরাট টাকা ভর্তুকি দিয়ে এই সুরাহা দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ এদিন বিক্রি হওয়া আলু কিনেছে ১০০ কেজি ২৯ টাকা প্রতি কেজি দরে। পিঁয়াজ কেনা হয় ৯৪ কেজি ৩৮ টাকা করে। ভেন্ডি কেনা হয় ৫০ কেজি ৪০ টাকা করে, বেগুন কেনা হয় ২৫ কেজি ৭০ টাকা করে, পটল কেনা হয় ৪২ কেজি ২৫ টাকা করে, ঝিঙে কেনা হয় ২৫ কেজি ৬৪ টাকা করে, বরবটি কেনা হয় ২৫ কেজি ৫০ টাকা করে, উচ্ছে কেনা হয় ২৫ কেজি ৭০ টাকা করে এবং পেঁপে কেনা হয় ১০ কেজি ৪০ টাকা করে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই ভর্তুকি দিয়ে কতদিন চালানো যাবে এই সুবিধা প্রকল্প।