বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পুলিশ স্টিকার লাগানো নীল বাতি লাগানো গাড়িতে বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই পাচারকারী। জানা গেছে, উড়িষ্যা থেকে আনা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণে গাঁজা। এই ঘটনায় প্রায় ১০০কেজি গাঁজা ও নীলবাতি লাগানো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম সুনিল বেরা বাড়ি আসানবোনা ঝাড়গ্রাম এবং অপরজন বিশ্বজিৎ সিং। তিনি বেহালা কলকাতার বাসিন্দা। সোমবার ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে বর্ধমান জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচারকারীদের যোগ রয়েছে কি না তা জানতে আদালতে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে বর্ধমান থানা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান থানার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, বিপুল পরিমাণে গাঁজা চারচাকা গাড়িতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে পাচার হচ্ছে। পুলিশ সেই মতো জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নাকা-তল্লাশি শুরু করে। সোমবার ভোরে এন. এইচ – ২বি বর্ধমান সিউড়ি রোডের সাই স্টেডিয়ামের কাছে পুলিশ নীলবাতি লাগানো একটি গাড়িকে আটকায়। গাড়ির যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং গাড়িটিতে তল্লাশি চালালে ছয় বস্তা গাঁজা উদ্ধার হয়। দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ধৃতরা খড়গপুর শহর থেকে গাঁজা ভর্তি গাড়ি নিয়ে বীরভূম যাচ্ছিলো। এই ১০০কেজি গাঁজা তারা উড়িষ্যা কেয়ানঝাড় থেকে নিয়ে এসেছিল। নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করে পুলিশের চোখে ধুলো দেবার চেষ্টা করেছিল ধৃতরা। এব্যাপারে এদিন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে আমরা একটা র্যাকেটকে ট্র্যাক করছিলাম। সোমবার সকালে আসার কথা ছিল। একটা গাড়ির মধ্যে গাঁজা ছিল। নীল বাতি লাগানো গাড়িটিতে পুলিশ লেখা ছিল। ১০০ কেজির উপরে গাঁজা ছিল। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাড়িটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উড়িষ্যা থেকে গুসকরা যাচ্ছিল। কে কে যুক্ত, কোথায় যাচ্ছিল সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রবিবারও উড়িষ্যা থেকে ৫০ কেজি গাঁজা বীরভূমে যাচ্ছিল। সেটাও মেমারীর পালসিটে ধরা হয়। গতকাল ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাড়িটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।