প্রচারে বেড়িয়ে রাস্তায় উদ্দাম নাচ তৃণমূল প্রার্থীর, কীর্তি দেখে অবাক পথচলতি মানুষ
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবারের সকাল। স্থান বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাটগোবিন্দপুর। পথ চলতি মানুষ রীতিমতো বিস্মিত। কী হচ্ছে হাটগোবিন্দপুর বাজারে ব্যস্ততম বর্ধমান-কালনা রোডের ওপর! গোল হয়ে আদিবাসী পুরুষ মহিলা মাদল বাজাচ্ছেন, আর তারই মাঝে রীতিমতো গলায় ফুলের মালা, হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা নিয়ে উদ্দাম নাচছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। একই সাথে মাদলও বাজালেন তিনি। কোনো প্রতিমা বিসর্জনে কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানে যেমন নাচ দেখতে পাওয়া যায়, ঠিক তেমন নাচ দেখালেন কীর্তি। আর এই দৃশ্য দেখে কেউ মুখ টিপে হাসলেন, কেউ বললেন ভোট বড় বালাই। শুধু কি তাই, এদিন ডিউটিরত এক ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ কর্মীকে দেখে তাঁর ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে বললেন, কমান এটা। আমার সঙ্গে থাকুন আমি কমিয়ে দেবো। বললেন বডি ফিট রাখলে সারাদিন উজ্জীবিত থাকা যায়, মাথা ভাল কাজ করে। স্বাস্থ্য সচেতন থাকা জরুরি। রবিবার বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে বড়মা কালীর পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এরপর কর্মী বৈঠক। তারপর কিছুটা রাস্তায় জনসংযোগ। বিজেপিকে হারাতে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানান। দলীয় পতাকা হাতে এই রকম নাচ কেনো? কীর্তি আজাদ জানান, এ দিদি কা ঝান্ডা হে, জো হর বকত লহেরানা চাহিয়ে।” তারপরই তাঁর জবাব, পার্টির ঝান্ডা, কর্মীদের উৎসাহ ও আদিবাসী বোনেরা যখন সঙ্গে আছেন, বাজনা বাজছে তখন নাচতে এমনিই মন চায়। পুলিশ কর্মীর ভুঁড়ি দেখে তাকে ফিটনেস ঠিক রাখার পরামর্শ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ফিটনেস রাখার জন্য সবাইকে বলি। ফিটনেস থাকলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, মাথা ভালো কাজ করবে, উজ্জীবিত থাকবেন, কাজে মন পাবেন। আমি পুলিশ কর্মীকে বলেছি আমার সাথে প্রতিদিন চলো, আমি ফিট করে দেবো। কীর্তি আজাদ এদিন বলেন, বাংলার প্রতি কেন্দ্র সরকার বঞ্চনা করছে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জি এস টি-র টাকা আমাদের প্রাপ্য পাচ্ছি না। এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিভিন্ন ভাতার অর্থ বাড়ছে। বিজেপি হচ্ছে ভারতীয় ঝুটা পার্টি। জুমলা পার্টি। মানুষের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেওয়া পার্টি। এরপরই তার উক্তি, তৃণমূল ৪২ সিট জিতে ৬ মেরে পাকিস্তানের বর্ডারের ওপারে বিজেপিকে পাঠিয়ে দেবে। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক, ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার, যুব সভাপতি সৌভিক পান-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরাও।