E Purba Bardhaman

ঘোড়ায় চেপে প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ; তৃণমূলে যোগ বিজেপি নেতার

Trinamool candidate Kirti Azad campaigned on a horse; BJP leader joins Trinamool

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার কখনও ঘোড়ায় চেপে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থক এবং বিধায়কের উপস্থিতিতে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার জগদাবাদ, কৃষ্ণপুর, কপিবাগান, রায়ান, ডাঙ্গাপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জোরদার প্রচার করেন তিনি। কখনও হুডখোলা গাড়িতে কখনও ঘোড়ার পিঠে চেপে কখনো আবার পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে তিনি জনসংযোগ করেন এবং স্থানীয়দের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগের কথা শোনেন। এদিন বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। এরপরে সেখান থেকে জগদাবাদের মিছিলের শামিল হন। জগদাবাদের মিছিল শেষে গোপালপুর থেকে হলদি দেপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন। রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের কপিবাগান থেকে নাড়ীগ্রাম, রায়ান গ্রাম, ডাঙাপাড়ায় যেখানেই প্রচারে গেলেন প্রার্থীর সমর্থনে তৃণমূল কর্মী পা মেলালেন মিছিলে। বুধবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই এদিন মিছিলে ব্যাপক সাড়া পেলেন তৃণমূল প্রার্থী। রায়ান গ্রামে প্রচারে বেড়িয়ে তিনি রীতিমতো সুসজ্জিত হয়ে ঘোড়ায় চেপে প্রচার করলেন। যা দেখতে উৎসাহী মানুষের ভিড় রাস্তার দুপাশে উপচে পড়ল। রাজনৈতিক প্রচারের অঙ্গ হিসাবেই এদিন ডাঙাপাড়ায় ইফতার পার্টিতেও যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ। সন্ধ্যায় দেওয়ানদিঘী ও কৃষ্ণপুর এলাকায় পথসভা করেন। এদিন কীর্তি আজাদ জানান, দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে কোনও কথা বলতে চাইছি না। কারণ, ভোটে যাঁরাই দাঁড়িয়েছেন, প্রত্যেকের ঘরে মা, ভাই-বোন আছেন। সবার পরিবার রয়েছে। মহিলাদেরকে সম্মান করছেন না। মহিষাসুর রূপে এসেছেন। উনি সমস্ত মহিলা সমাজ, নারী সমাজকে অপমানিত করছেন। জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে ওনাকে বধ করবেন ভোটাররা। মমতা দিদিকে জেতাবেন। দিলীপ ঘোষের জেতার কোনও কারণ নেই। তাঁর কাছে কর্মীও নেই। জমিতে কোনও নেতৃত্ব নেই। তিনি তামাশা করে চলেছেন। উনি মেদিনীপুরে কী কাজ করেছেন, সেটা বলে দিক। বাংলার প্রাপ্য টাকা আনার জন্যে কী করেছেন। মোদীর মতোই জুমলাবাজ। কাজ করার কোনও ক্ষমতা নেই। বসে বসে মাছি মারছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের জন্যে কী করবেন, সেটা তো বলছেন না। মোদীর গ্যারান্টির সব ফেল! দিলীপ ঘোষ পাগল লোক। তাঁর কথার কী উত্তর দেব।
অন্যদিকে, রায়ান গ্রামের সভায় এদিন বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহসভাপতি কৌশিক কুণ্ডু বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি দলের কাছ থেকে তিনি সঠিক ব্যবহার পাচ্ছিলেন না। দলের জেলা সভাপতি থেকে সাংসদকেও তিনি এব্যাপার জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সুরাহা তিনি পাননি। কর্মীদের কোনো মূল্য না থাকায় তিনি বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের সাথি হওয়ার জন্য এদিন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল প্রমুখরাও। এদিন রায়ান গ্রামেই রীতিমতো খঞ্জনি নিয়ে হরিনাম সংকীর্তণে মাতলেন কীর্তি আজাদ।

Exit mobile version