গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলসীর মসজিদপুরে সিপিএম–তৃণমূল সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে মোট ৬জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ হোসেন অভিযোগ করেছেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিপিএমের লোকজন দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুলমহম্মদ মোল্লা অভিযোগ করেছেন, সিপিএমের লোকজনই তাদের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। লাঠি, রড. বাঁশ, বল্লম নিয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে শেখ জয়নাল আবেদিন, শেখ জহর, শেখ আসপিয়া ও শেখ আম্বিয়া সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। জয়নাল, জহর, আসপিয়া ও আম্বিয়াকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আম্বিয়া ও জহর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় মসজিদপুরের বাসিন্দা ফিরোজ শেখ ওরফে রবি গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ২জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম ডেভিড রহমান বড়াল ওরফে পাপ্পু ও জাহাঙ্গীর শেখ। মসজিদপুরের মুসলিমপাড়ায় তাদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মসজিদপুর থেকে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল থেকে বাঁশ,লোহার রড, লাঠি ও বল্লম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ধৃতদের ৩ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। কর্মবিরতির কারণে ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী এদিন দাঁড়ান নি। ধৃতরা নিজেরাই জামিনের সওয়াল করে। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা পুলিশী হেপাজতের পক্ষে সওয়াল করেন। সওয়াল শুনে ধৃতদের ৩ দিন পুলিশী হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।