E Purba Bardhaman

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ কমিটির বৈঠক নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে শাসকদলে

Trinamool Congress faction over booth committee meeting in Burdwan 1 block ahead of panchayat elections

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ কমিটির বৈঠক করা নিয়ে বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি বনাম জেলাপরিষদের সদস্যের মধ্যে বিবাদ বাড়তে শুরু করল। দলীয় নির্দেশে সমস্ত নেতৃত্বকেই বুথ কমিটির বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছে দলের ওপরতলার নেতারা। আর সেই নির্দেশ মেনেই চলতি সময়ে জায়গায় জায়গায় চলছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কমিটির বৈঠক। আর এই বৈঠক ঘিরেই এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিল। রবিবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন নেড়োদিঘী ভোতারপাড় এলাকায় বুথ কমিটির বৈঠক ডাকেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। আর এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে দুই পক্ষের বাদানুবাদ। সোমবার জেলাপরিষদ সদস্য নুরুল হাসান জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বুথে বুথে কর্মীসভা শুরু করেছি। আমি জেলাপরিষদের সদস্য হিসাবে এই কর্মসূচী শুরু করেছি। বর্ধমান ১ ব্লকের নেড়োদীঘি ভোতার পাড় থেকে শুরু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী কাকলী তা গুপ্ত অনেককেই বাদ দিয়ে সভা করে বিরোধীদের হাত শক্ত করছেন। তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন তাঁদের নিয়ে আমরা সভা করছি। যাতে তাঁদের মনে ক্ষোভ না হয়। যাতে ২০১১ সালের পরে নেতৃত্বে আসা ব্যক্তিদের কার্য্যক্রমের জন্য দীর্ঘদিনের নেতা-কর্মীরা খুন না হন। বিরোধীরা যাতে সুবিধা না পায় তাই এই সভা করা হচ্ছে। নুরুল জানিয়েছেন, আমরা দলের মধ্যে বিভেদ চাই না। কিন্তু কাকলী তা গোষ্ঠী শুরু করে বিরোধীদের সুবিধা করে দিচ্ছেন। নেড়োদীঘির পঞ্চায়েত সদস্য-সহ অনেক নেতা কর্মীকে না নিয়েই তিনি সভা করছেন। এদিকে, নুরুল হাসানের এই বক্তব্যকে খণ্ডন করে পাল্টা কাকলী তা গুপ্ত জানিয়েছেন, রবিবারের নুরুল হাসানের সভা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন। তিনি জানান, আমরা বহুদিন ধরে সবাইকে নিয়ে সভা করে দলকে মজবুত করার চেষ্টা করছি। গতকাল বিজয়রামের সভার জন্য সেখানকার সদস্যকে অঞ্চল সভাপতি সেখ জামাল ডাকতে গিয়েছিলেন। কেউ একজন তাঁকে আসতে দেননি। বচসা হয়েছিল। কিন্তু তার বুথের সমস্ত মানুষ এসেছিলেন। নেড়োদীঘির সদস্যকেও জানানো হয়েছিল। ‘জন্মলগ্ন’ কথাটা মানুষ ভালো খায়, তাই তৃণমূল কংগ্রসের জন্মলগ্নের প্রসঙ্গ টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কাকলীদেবী জানান, তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করেন না। বিধানসভা ভোটে এই নুরুল হাসান বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে দলকে হারানোর চেষ্টা করেছিলো। আর উনি দলের সভা ডাকার কে? উনি একজন দলের জেলাপরিষদের সদস্য। সাংগঠনিকভাবে কোন পদে আছেন? উনি তো সি পি এম, বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে চলছেন। দলের মানুষজনকে আঘাত করছেন। স্বভাবতই পঞ্চায়েতের নির্বাচনের আগেই দলের নেতাদের মধ্যে এই বাদানুবাদ রীতিমত রাজনৈতিক পারদকে চড়িয়ে দিয়েছে।

Exit mobile version