তৃণমূল কংগ্রসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব; হুমকি-পাল্টা হুমকি; দলীয় কর্মসূচীর মঞ্চ সরালো পুলিশ
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই রাজ্যের শাসকদলের অন্তর্কলহ বাড়তে শুরু করল বর্ধমান ১ ব্লকে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসানের সঙ্গে বর্ধমান ১ ব্লক সভানেত্রী কাকলী তা গুপ্ত গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে দফায় দফায়। রবিবার আরও একদফা বিবাদে জড়ালো দুপক্ষই। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে বর্ধমান ১ ব্লকের ভোতারপাড় এলাকায় সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কর্মী সভার ডাক দেন জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। নুরুল হাসান দাবী করেছেন, ওই কর্মীসভায় প্রচুর তৃণমূল কর্মী এবং সাধারণ মানুষও হাজির হন। আর সেই আক্রোশে রবিবার সেখানেই ১৭৭ ও ১৭৮ বুথের একটি কর্মীসভা এবং শীতবস্ত্র প্রদান করার ডাক দেন বর্ধমান ১ ব্লকের সভানেত্রী কাকলী তা গুপ্ত, যুব ব্লক সভাপতি মানস ভট্টাচার্য্য প্রমুখরা। এদিন সকালে ভোতার পাড় এলাকায় মঞ্চ তৈরীর সময় এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলা থেকে সংঘর্ষ ঘটে। এরপরই পুলিশ ওই মঞ্চ নির্মাণ বন্ধ করে মঞ্চকে অন্যত্র সরিয়ে নেবার নির্দেশ দেন। পুলিশের নির্দেশ মেনে অন্যত্র মঞ্চ করে শুরু হয় সভা। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় চাপান উতোর। এদিন ওই মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান ১ ব্লক সভানেত্রীর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা রীতিমত নাম না করে নুরুল হাসানের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের সময় বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ মালিককে হারানোর জন্য বিজেপি এবং সিপিএমকে ভোট দেবার কথা বলেছিলেন ওই নেতা। তার প্রমাণ হাতে আছে। এদিকে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই বেশ কিছুদিন ধরেই বর্ধমান ১ ব্লকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এই আকচাআকচিতে রীতিমত উত্তেজনার পারদ চড়ছে। অথচ শনিবারই বর্ধমান টাউন হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভায় সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিয়ে যান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তারপরে কিভাবে গোষ্ঠীবাজি ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। রবিবার এই সভায় হাজির ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক, ব্লক সভানেত্রী কাকলি তা গুপ্ত, সহ-সভাপতি দেবনারায়ণ গুহ, ব্লক যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী, অঞ্চল সভাপতি জামাল সেখ, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি রবিন নন্দী, দেবনারায়ণ গুহ প্রমুখরাও।