তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এই নির্বাচন বাঁচার লড়াই – খোকন দাস
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এই লোকসভা নির্বাচন আমাদের কাছে বাঁচার লড়াই। তাই সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের বাঁচার তাগিদে এই একমাস সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের দুই তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত সভায় এভাবে কর্মীদের উজ্জীবিত করলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনকেই এই লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে, এদিন চিরাচরিত ভাষণে না গিয়ে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকার বলেন, তিনি নিজের জন্য ভোট চাইবেন না। যুব সমাজই দেশের ভবিষ্যৎ। নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন সবুজ পৃথিবী দিতে, নতুন সমাজ গঠনে যুব সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাংলায় উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে দিকে দিকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করুন। অপরদিকে, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ এদিনও বলেন, বিজেপি গোটা দেশকে ধ্বংস করার খেলায় নেমেছে। তাদের প্রতিহত করতে বাংলার ৪২ টি আসনকেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে হবে। এদিন কীর্তি আজাদ বলেন, তাঁর মা ছিলেন মমতাময়ী। তিনি মারা গেছেন। কিন্তু সর্বতোভাবে বাংলার মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই তিনি মা হিসাবেই দেখেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় যুবদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন, মাদার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা নির্বাচনী কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি বুথ থেকে তাঁদের লিড দিতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিল ২৪ জন। কিন্তু তারপর থেকে লাগাতার ইডি, সিবিআইএর দৌরাত্ম্যে সেই আসন কমে ২০১৯ সালে হয় ১৮টি। তাই এই অপচেষ্টাকে রুখে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ৪২-এ ৪২ করার লক্ষ্যে। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার, বিধায়ক শম্পা ধাড়া, মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা সহ জেলা তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।