বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :-লোকসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে না বাড়তেই বর্ধমান জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে থাকা বিজেপি নেতাদের দুটি বাইক পুড়িয়ে দেবার ঘটনায় শুরু হল ব্যাপক চাপান উতোর। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছোঁড়া হলেও পাল্টা শাসকদলের নেতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তৃণমূল নয়, দায়ী বিজেপিরই গোষ্ঠী কোন্দল। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ১টা নাগাদ আচমকাই বিজেপি জেলা পার্টি অফিসের সামনে থাকা দুটি মোটরবাইকে আগুন লাগে। বিজেপির স্বচ্ছ ভারত মিশনের আহ্বায়ক দীনবন্ধু হাজরা এবং বাপ্পাদিত্য ঘোষের দুটি বাইক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দীনবন্ধুবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই পার্টি অফিসের ভেতরে বসে মিটিং করছিলেন। পার্টি অফিসে সেই সময় ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও। হঠাতই তাঁরা আগুন লাগার খবর শুনতে পান পথচলতি মানুষের কাছ থেকে। দৌড়ে পার্টি অফিসের বাইরে এসে দেখেন দুটি বাইক দাউ দাউ করে জ্বলছে। দীনবন্ধুবাবু অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনার পিছনে দায়ী শাসকদল। তারাই বিজেপিকে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। এদিন তিনি সবসময়ের জন্য বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ মোতায়েন করারও দাবী করেন। যদিও এই ঘটনার পিছনে কারা দায়ী সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা পার্টি অফিসের ভিতরে ছিলেন, কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তাঁরা জানেন না। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ফল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল, সিপিএম থেকে যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারাই এখন বিজেপিতে গিয়ে ভীড় করেছে। আর তা নিয়েই বিজেপির পুরনো কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরোধ। তাঁরা এসব মানতে পারছেন না। আর তাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় জিটিরোড পর্যন্ত এসে পড়েছিল। খোকন দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো কর্মীই এই কাজে যুক্ত নয়।