বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চলতি বর্ষা মরশুমে ভরাভর্তি খড়ি নদীর ধারে ছোট্ট ভাইকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে জলস্রোতে তলিয়ে গেল দুই শিশু। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার গোপালপুরে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, মামাতো ভাই আড়াই বছরের কাজী আহিলকে নিয়ে বেড়াতে বেড়িয়েছিল ছোট্ট সেখ রিয়াজউদ্দিন (১১)। আহিলের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার হিজলগড় এলাকায়। মায়ের সঙ্গে সে এসেছিল পিসির বাড়িতে বেড়াতে। পিসতুতো দাদা এগারো বছরের সেখ রিয়াজউদ্দিন ছোট্ট মামাতো ভাইকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেড়িয়েছিল খেলার ছলে। কিন্তু আর তাদের বাড়ি ফেরা হয়নি তাদের। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দুপুর থেকেই নিখোঁজ দুই শিশুর হদিশ পেতে শুরু হয় ব্যাপক খোঁজাখুঁজি। এরই মাঝে গ্রামেরই এক বাসিন্দা জানান, ওই দুই শিশুকে তিনি গোপালপুরে খড়ি নদীর কাছে দেখেছেন। আর এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতে খড়ি নদীতে তল্লাশি চালায় জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরিরা। খবর দেওয়া হয় পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরিদেরও। সেখান থেকে ৪জনের একটি দল এসে পৌঁছায় গোপালপুরে। রাত্রি প্রায় ১০ টা পর্যন্ত চলে খড়ি নদীতে তল্লাশি। কিন্তু রাতে কোনো দেহ উদ্ধার হয়নি। এরপর ফের শুক্রবার সকাল থেকেই ডুবুরির দল তল্লাশি চালাতে শুরু করে। আর তারপরেই গোপালপুর থেকে প্রায় আড়াই কিমি দূরে পারহাট ঘাটের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সেখ রিয়াজ উদ্দিনের দেহ। এদিন বিকাল পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি ছোট্ট আড়াই বছরের কাজি আহিলের।