গলসী (পূর্ব বর্ধমান) :- পৃথক দুটি ঘটনায় গলসী থানা এলাকায় ডিভিসি ক্যানেল থেকে উদ্ধার হল দুই মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার সকালে গলসী থানার সাঁকোর কাছে ডিভিসি ক্যানেলের ধারে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হয় এক প্রতিবন্ধী মহিলার মৃতদেহ। মৃতার নাম প্রতিমা মাঝি (২৫)। গলসী থানার সাঁকো হাইস্কুলের সামনে মৃতার বাপের বাড়ি। তিন মাস আগে গলসী থানার রাঘবপুরে বিবাহ হয় ওই মহিলার। স্বামীর নাম শম্ভু বাগ্দী। জানা গেছে, জন্ম থেকে বাম চোখে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ওই মহিলা। মৃতার বাবা পুর্ণ মাঝি ও সাঁকো পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবোধ ঘোষ জানান, শনিবার সকাল ৯টার সময় রাঘবপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে উড়ার ক্যানেল পুল পেরিয়ে বাম দিকের ক্যানেল বাঁধ ধরে সাইকেলে সাঁকো বাপের বাড়িতে আসছিলেন ওই মহিলা। বাপের বাড়িতে বোন আসায় সে কিছু ফল নিয়ে বোনের সাথে দেখা করতে আসছিল। তারপর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে খোঁজাখুঁজি করার সময় এলাকার মানুষ তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ডিভিসির সাঁকো ও উড়ার মাঝামাঝি ক্যানেল বাঁধের পাশে ঝোপের মধ্যে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঝোপের মাঝে পড়ে ছিল তার মরদেহ। পাশে পরেছিল রক্ত। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে মাথায় ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তাদের। মরদেহের পাশে একটি গাছের নিচে পড়ে রয়েছে বিয়ারের বোতল ও চিপসের প্যাকেট। তাছাড়া ঝোপের পাশে পড়ে ছিল তার সাইকেলটি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসী থানার পুলিশ। অন্যদিকে, গলসী থানার পুরসার ডিভিসি সেচখালের লকগেট থেকে উদ্ধার হল এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তির মৃতদেহ। বয়স আনুমানিক ৩৪ বছর। স্থানীয়রা জানান, রবিবার বেলা দশটার নাগাদ ওই ব্যক্তি পুরসার গ্রাম থেকে ডিভিসির দিকে আসে এবং বাঁধের উপর ব্যাগ ও জুতো রেখে আচমকা জলে ঝাঁপ দেয়। জলের তোড়ে সে লকগেটের বামদিকের গেটে আটকে যায়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ওই ব্যক্তিকে তারা এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। গতকালও পুরসার মাঝের পুলে তাকে খাবার চেয়ে খেতে দেখা গেছে। তার নাম পরিচয় কিছু তাদের জানা নেই বলে জানান। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে গলসী থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তার মৃতদেহ।