জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- এক ব্যক্তিকে মেডিসিন প্ল্যান্ট বসানো ও ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবসার টোপ দিয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুই প্রতারক। বেশ কয়েকবার তাগাদার পর প্রতারকরা টাকা ফেরতের চেক দেয়। সেই চেক বাউন্স করে। বিষয়টি জামালপুর থানায় জানান প্রতারিত। থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে প্রতারিতের দাবি। এসপিকে জানানোর পরও সুরাহা না মেলায় বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন প্রতারিত। সিজেএম কেস রুজু করে জামালপুর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিের্দশ দিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, প্রতারকরা বহু লোককে ঠকিয়েছে। এনিয়ে এক ব্যক্তিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়েছে। এখন টাকা ফেরতের তাগাদা থেকে বাঁচতে প্রেস লেখা গাড়িতে চেপে ঘুরছে। প্রতারণা নিয়ে মামলা করা হয়েছে। আদালত তদন্তের নিের্দশ দিয়েছে। জামালপুর থানার এক অফিসার বলেন, আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়ার কথা ঠিক নয়। মামলা সাজাতে এসব বলা হচ্ছে। আদালত নিের্দশ দিলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে জামালপুর থানার উত্তরশুড়া গ্রামের বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০২০ সালে করোনার সময় ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। সে কারণে তিনি অন্য ব্যবসার কথা ভাবছিলেন। সেই সময় জামালপুর থানার ধাপধাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর কাঠের দোকানে এসে তাঁকে মেডিসিন প্ল্যান্ট তৈরি ও ভেষজ উদ্ভিদ চাষের পরামর্শ দেয়। ব্যবসার জন্য ১ লক্ষ টাকার মতো লাগবে। এতে ২৮-৩০ লক্ষ টাকা সাবসিডি মিলবে বলে টোপ দেওয়া হয় তাঁকে। তাদের প্রস্তাবে তিনি রাজি হন এবং কয়েক দফায় তিনি ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন। ভেষজ উদ্ভিদের চাষ দেখানোর জন্য তাঁকে বাঁকুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি জমিও দেখানো হয়। তারপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁর মেডিসিন প্ল্যান্ট বসেনি। ভেষজ উদ্ভিদের চাষের টাকাও তিনি পাননি।