বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চোখে লঙ্কা ছিটিয়ে গুড় ব্যবসায়ী সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা এবং সোনার চেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শান্তনু চট্টোপাধ্যায় ওরফে ধাকু ও টোটন ভকত। বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায় বেলপুকুরের দক্ষিণ পাড়ে শান্তনুর বাড়ি। শহরেরই লাকুর্ডির চণ্ডীতলা এলাকায় টোটনের বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রানীসায়র পশ্চিম পাড়ে খোসবাগান রোড থেকে দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তারা বাইকে চেপে যাচ্ছিল। তাদের ব্যবহৃত বাইকটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ছিনতাইয়ের পর ওই বাইকটি চেপেই দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায় বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ছিনতাইয়ে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে এবং টাকা ও সোনার চেন উদ্ধার করতে ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতদের সাতদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ বালিবাগান এলাকার বাসিন্দা মনজিৎ দে গত ১৮ জুন রাতে নতুনগঞ্জে তাঁর গুঁড়ের আড়ত থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনেই তিনজন দাঁড়িয়েছিল। তাদের কাছাকাছি যেতেই মনজিৎ এর চোখে কিছু ছুঁড়ে দেয় তারা। তিনি চোখে তীব্র জ্বালা অনুভব করেন। জ্বলনের কারণে তিনি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেই সুযোগে দুষ্কৃতিরা তাঁর গলা থেকে সোনার চেন ও ব্যাগে থাকা ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে চেপে চম্পট দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনায় চারজন জড়িত বলে জানতে পারে। তারা বেশ কিছুদিন ধরে মনজিৎ এর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। ঘটনার দিন তিনি আড়ত থেকে বের হওয়া মাত্র একজন ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। বাকিরা বাড়ির সামনে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। তিনি আসা মাত্র চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে কাজ হাসিল করে চম্পট দেয় তিন দুষ্কৃতি।