খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- বাজেয়াপ্ত হওয়া মাটি কাটার যন্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রের সম্পর্কে আদালতে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য ওয়েব্রিজের মালিকের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল খণ্ডঘোষ থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হলফনামা জমা দেন ওয়েব্রিজের মালিক নাসিরউদ্দিন মল্লিক। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া মাটি কাটার যন্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রের বিষয়ে তিনি থানায় নথিপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু, তা নেওয়া হয়নি। দু’লক্ষ টাকা না দিলে আদালতে রিপোর্ট পাঠানো হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে দিয়ে ওয়েব্রিজে বালি মজুত করে রাখা নিয়ে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর আইনজীবী শেখ মহম্মদ সামিউল্লা বলেন, ওয়েব্রিজের মালিককে দু’লক্ষ টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শাসানো হচ্ছে। আদালত বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসপত্রের বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। কিন্তু, থানা তা করছে না। বাধ্য হয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে সিজেএম রিপোর্ট তলব করেছেন। আগামী সোমবার তদন্তকারী অফিসারকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানাতে হবে। থানার এক অফিসার বলেন, আদালতের নির্দেশের বিষয়ে কিছু জানা নেই। এধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খণ্ডঘোষ থানার সালুনে একটি ওয়েব্রিজ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে ওয়েব্রিজে মজুত করে রাখা বালি লরিতে লোড করে পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিসের অভিযোগ। জেসিবি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। ঘটনার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা রুজু করে থানা। বাজেয়াপ্ত হওয়া জেসিবি মেশিন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ফেরত পেতে আদালতে আবেদন জানান ওয়েব্রিজের মালিক। এব্যাপারে তদন্তকারী অফিসারের রিপোর্ট তলব করেন সিজেএম।