বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান থানার সুকান্তনগরে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধ শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম পবিত্র ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের আগে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইনের ৩৫(৭) ধারায় ডিএসপি হেড কোয়ার্টারের অনুমতি নেওয়া হয়। এই আইনে প্রবীণ নাগরিককে গ্রেপ্তারের আগে ন্যূনতম ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৪ জুলাই ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে সুকান্তনগরের শ্বশুরবাড়িতে তিথিপ্রিয়া ঘোষ (২৩)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বছর চারেক আগে তাঁর সঙ্গে পবিত্রর ছেলে পার্থ ঘোষের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে পণের অন্যান্য জিনিসপত্র দিতে পারলেও ১ লক্ষ টাকা দিতে পারেন নি তিথিপ্রিয়ার বাবা অবনী দত্ত। বিয়ের কিছুদিন পর বাপেরবাড়ি থেকে পণের টাকা আনার জন্য তিথিপ্রিয়ার উপর চাপ দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। হামেশাই তাঁকে মারধর করা হত। মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার দিনই তাঁর বাবা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পণের টাকা দিতে না পারায় মেয়ের উপর নির্যাতন চালানো হত। মাঝেমধ্যেই তাঁকে মারধর করা হত। ঘটনার আগেরদিনও তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়। মেয়েকে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালাতে দেহ টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন মৃতার বাবা। উল্লেখ্য, বুধবার ময়নাতদন্তের পর আত্মীয় পরিজনেরা তিথিপ্রিয়ার মৃতদেহ শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশের আশ্বাস বিক্ষোভ থামে।