বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৪, ইতোমধ্যেই দেশের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং মহারাজাধিরাজ বিজয়চাঁদ ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে ডিসিআরসি ও ভোট গণনা কেন্দ্র করা হয়। শুক্রবার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পরিদর্শনে যান পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিধান চন্দ্র রায়। বিল্ডিংয়ের যে সমস্ত ঘরগুলিতে স্ট্রং রুম ও ভোট গণনা হবে সেই ঘরগুলি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তিনি। জেলা শাসক বিধান চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, যেহেতু লোকসভা নির্বাচন আসন্ন, তাই তাঁরা ভেনুগুলো ঘুরে দেখছেন। কোথায় কী থাকবে, কোথায় কী করা হবে সেগুলি দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তাঁরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। সেইমতো এদিন পরিদর্শন করা হলো। এদিন পরিদর্শনে পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাস, ওসি ইলেকশন মিলন তীর্থ সামন্ত-সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২ টি লোকসভা আসন বর্ধমান–দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব। এর মধ্যে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার বেশ কিছু অঞ্চল। অপরদিকে, বীরভূমের বোলপুর লোকসভা আসনের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ ও ২, কেতুগ্রাম ১ ও ২ এবং মঙ্গলকোট ব্লক। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ ব্লক। এর মধ্যে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনটি গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সুরেন্দ্রজিত সিংহ অহলুবালিয়া জয়ী হন। অন্যদিকে, বর্ধমান পূর্ব আসনটিতে জয়ী হন তৃণমূলের সুনীল মণ্ডল। যদিও জয়ের পর তিনি বিজেপি চলে যান। পরে আবার তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন।
ওসি ইলেকশন মিলন তীর্থ সামন্ত জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের নিরিখে গত ২২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। আর সেই তালিকা অনুযায়ীই, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮২৯ জন। জেলায় নতুন ভোটার হয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৮৭ জন। নতুন ভোটার এবং স্থানান্তর কারণে জেলায় ভোটার হয়েছেন ৮৫ হাজার ৩০৮ জন। বিভিন্ন কারণে জেলায় ভোটার তালিকা থেকে বাতিল হয়েছে ৬৬ হাজার ৮১৯ জনের নাম। ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৪৫৮ জন। যা মোট ভোটারের ২.৪৮ শতাংশ। আশি ঊর্ধ্ব ভোটারের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৩১০ জন। যা মোট ভোটারের ১.৩৮ শতাংশ।