বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :– রাণীগঞ্জ, কলকাতার পর এবার কি তাহলে ভিন রাজ্যের ডাকাত গ্যাংয়ের লক্ষ্য বর্ধমান? – শনিবার তেমনটাই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে পুলিশ। এদিন বর্ধমান উদয়চাঁদ জেলা গ্রন্থাগারে বর্ধমান শহর ও শহরতলির স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করল বর্ধমান থানা। উল্লেখ্য, বাংলার একাধিক জেলায় পর পর সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যদিও বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশি তৎপরতায় সাফল্য পায়নি ডাকাতের দল। এখনো কিছু ডাকাত দল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সোনার দোকানে লুটপাঠ চালানোর জন্য। এই রকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এবার তৎপর হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে এসেছে ডাকাত দল, তাই সজাগ থাকতে হবে বর্ধমানের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। এদিন শহরের প্রায় শ’খানেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকরা। এই শিবিরে থানার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান থানার সেকেন্ড অফিসার পারভেজ হাসান, কৌশিক নাগ ও স্বপন বসু এবং শহরের স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ স্বর্ণ অলংকারের দোকান রয়েছে শহরের সোনাপট্টী ও মিঠাপুকুর এলাকায়। এই সব এলাকায় বেশী করে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা অ্যালার্ম লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনার খবর থানায় জানানোর কথা বলেছেন এদিন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি এই সব এলাকায় অতিরিক্তভাবে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগন্নাথ দে জানিয়েছেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণ অলংকারের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে সে ব্যাপারে সচেতন করতে বর্ধমান থানার পক্ষ থেকে এই বৈঠক। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন তাঁদের জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখনো বেশ কয়েকটি ডাকাতদল সক্রিয় রয়েছে। তা থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি দোকানে ও এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সক্রিয় রাখতে হবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জগন্নাথবাবু জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তাঁদের পক্ষ থেকে ৩৫ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বর্ধমান থানা। এরই সঙ্গে বিপদসূচক ঘণ্টি লাগানোর কথাও বলা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি কোনো সন্দেহজনক কাউকে বা কিছু নজরে এলেই তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।