E Purba Bardhaman

হাতে লাঠি নিতে হবে চোর, ডাকাত, গুণ্ডাদের তাড়াতে – দিলীপ ঘোষ

You have to take a stick in your hand to chase away thieves, dacoits, gangsters - Dilip Ghosh

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর এই অনুষ্ঠানেই দিলীপবাবুকে এক দলীয় কর্মী একটি লাঠি উপহার দেন। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড় হলে এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, লাঠি নিতে হবে। এত চোর ডাকাত গুন্ডা বদমাশ থাকে। তাদের তাড়াবার দায়িত্ব তো কাউকে নিতে হবে। আমি নিয়েছি। আমাকে ভরসা করে কেউ কখনো লাঠি দিচ্ছে, কেউ গদা দিচ্ছে, ত্রিশূল দিচ্ছে। আমার হাতে বোধহয় ওটা ভালো মানায়। সেজন্য দেন মাঝে মধ্যে। বাকিদের হাতে তো বান্ডিল দিয়ে দেয়। ভোটের দিন কি লাঠির প্রয়োজন আছে? এর উত্তরে দিলীপবাবু এদিন বলেন, প্রয়োজন হবে কিনা দেখা যাক। আমার তো মনে হয় দরকার হবে না। এখানকার মানুষ যথেষ্ট জাগ্রত। তারাই সব ঠিকঠাক করে দেবে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে তিনবার বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত থেকে যেমন বাংলাকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে, তেমনই বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও আইনকানুন, নিয়ম-নীতি কিচ্ছু নেই। ওখানে বোমা বন্দুক, ওখানেই বোমা বিস্ফোরণ, টেরোরিস্ট অ্যাক্টিভিটি। সব ওখানে লুকায়। টিএমসি ওই এলাকাকে মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে। যা ইচ্ছা করো। শুধু ভোট দাও আর জেতাও। এর ফল পাবে। পশ্চিমবাংলা এবং দেশের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। গুন্ডাদের পুষে রেখেছে। পশ্চিমবাংলার যে বদনাম হচ্ছে তার জন্য টিএমসি দায়ী। একইভাবে হাসনাবাদ বিস্ফোরণে বিজেপি নেতার ভাই গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপবাবু এদিন বলেন, আমাকেও গ্রেফতার করে ফেলতে পারে। কারণ পুলিশ তো ওদের হাতে আছে। নিজেরা বোমা বিস্ফোরণ করছে। নিজেরা মরছে, মারছে। লোকে দেখছে, কারা মরছে, কার বাড়িতে বোম পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় আমাদের লোকের বাড়ির সামনে বোমা রেখে দিয়ে বলছে, এই করেছে, তাই করেছে। ভোটের আগে একটু ভয় দেখাবার চেষ্টা করছে। আনন্দপুরে বিজেপির মন্ডল সভাপতি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দিলীপবাবু বলেন, সব জায়গায় কমবেশি হচ্ছে। কাল ওখানেও ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। যেখানে আমি ছিলাম। আমি একটা গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা সাধারণ কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করলাম। একজনের বাড়িতে বিশ্রামের ব্যবস্থা হয়েছিল। তাকে ধমকে নিষেধ করে দিয়েছে। সে বলছে আমার বাড়িতে না এলেই ভালো হয়। এসব চলছে। এর মধ্যেও তো বিজেপি বেড়েছে। এদিন তিনি বলেন, টিএমসির রাগ, হেরে যাচ্ছে। প্রার্থী বেরোচ্ছে না রোদে। পার্টি অফিসে বসে কোল্ড ড্রিংস খাওয়া হচ্ছে। আমরা গেলে কালো ঝান্ডা দেখিয়ে গো ব্যাক বলা হচ্ছে। টিএমসি নেতারা যদি চলে আসে বিজেপিতে তা কি আমাদের দোষ? তাকে ভয় দেখানো, তার বাড়িতে বোম মারা হবে এটা কি ধরনের রাজনীতি! ভোটের পরে তো তোমাদের সবাইকেই আসতে হবে, পার্টিটাই উঠে যাবে। পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। বসার লোক পাবে না। এসব হিংসার রাজনীতি ভয় দেখানোর রাজনীতি বন্ধ করো। সময় পাল্টে গেছে। আরো অনেককে যোগ করাবো। লাইনে আছে। কত বোমা মারবে। ওরা কয়জন থেকে যাবে। সময় সবাইকে দেখে নেবে।

Exit mobile version