বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সিপিএমের দিক থেকে তৃণমূলের দিকে নিয়ে আসার কৃতিত্ব স্বরূপ পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ৩০০ মাঝিবাবা তথা মোড়লকে সম্বর্ধিত করতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। আগামী ৩০ জুন বর্ধমানের সাতগেছিয়া ফুটবল মাঠে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে এই মোড়লদের এই কাজের সুবাদের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে একটি সার্টিফিকেটও। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, এবছর হুল দিবস পালিত হবে মেমারী ব্লকের সাতগেছিয়ায়। এই অনুষ্ঠানেই জেলার ৩০০ মোড়ল তথা মাঝিবাবাদের দেওয়া হবে পাঞ্চি (আদিবাসী বিশেষ পোশাক), সিধু কানহু মূর্তির স্মারক এবং একটি করে সার্টিফিকেট। তিনি জা্নিয়েছেন, রাজ্যে পালাবদলের পর মা মাটি মানুষের সরকারকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছেন এই মাঝিবাবারা। কারণ এরাই আদিবাসী গ্রামের মোড়ল। তাঁদের কথা শেষ কথা। এই মাঝিবাবারাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে তৃণমূল মুখী করতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একসময় সিপিএম এই আদিবাসীদের ব্যবহার করে ভোটে জিতে গেছে বছরের পর বছর। কিন্তু আদিবাসীদের জন্য তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই আদিবাসী মানুষদের কল্যাণে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। আদিবাসী শিক্ষার প্রসারে অলচিকি ভাষায় পঠন পাঠনের স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় আরও কয়েকটি স্কুলের জন্য প্রকল্প রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়েছে। খুব শীঘ্রই সেগুলির অনুমোদন আসলেই জেলায় আরও কয়েকটি স্কুলে চালু হয়ে যাবে অলচিকি ভাষায় পঠন পাঠন। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও অলচিকি ভাষায় পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। শুধু এটাই নয়, আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য জাহের থানের পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। তাদের অধিকার অনেকটাই নিশ্চিত করেছে এই সরকার। যার মূলে রয়েছেন এই মাঝিবাবা তথা মোড়লরা। তাই তাদের সম্বর্ধিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই হুল দিবসেই। উল্লেখ্য, বুধবার বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউণ্ডে অবস্থিত সিধু – কানহুর মূর্তিকেও পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগান এদিন দেবু টুডু। তিনি জানিয়েছেন, হুল দিবসের এই অনুষ্ঠানে মো্ট ২৫০টি আদিবাসী দলের হাতে তুলে দেওয়া হবে একজোড়া করে মাদল। যদিও অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দেওয়া হবে ৭৫টি দলের হাতে এই মাদল। এছাড়াও প্রতিটি ব্লক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপক একজন করে ছাত্র ও ছাত্রীকেও ওইদিন সম্বর্ধিত করা হবে।