Site icon E Purba Bardhaman

কাটোয়ায় কংগ্রেসের শিক্ষক নেতা তুহিন সামন্তর পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর মামলার শুনানি হবে সেখানকার আদালতেই, জানালেন জেলা বিচারক।

বর্ধমান, ২২ জানুয়ারিঃ- কাটোয়ায় পুলিশের গুলিতে কংগ্রেসের শিক্ষক নেতা তুহিন সামন্তর মৃত্যুর মামলার শুনানি সেখানকার আদালতেই হবে। মামলাটি কাটোয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে চলছে। সেখান থেকে মামলাটি জেলার অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানান অন্যতম অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দেবজ্যোতি সাহা। ঘটনার সময় তিনি কাটোয়া থানার ওসি ছিলেন। বর্ধমানের জেলা ও দায়রা আদালতে ‘মামলা’ স্থানান্তরের জন্য আরজি জানান তিনি। দীর্ঘদিন সেই আবেদনের শুনানি হয়নি। শেষ মেশ এবছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা স্থানান্তরের আরজি -র শুনানি হয়। আবেদনকারীর হয়ে আইনজীবী গোলক বিহারী ঘোষ সওয়াল করেন। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের তরফে আইনজীবী আজিজুল হক মন্ডল এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী মদস্‌সর হোসেন পালটা সওয়াল করেন। দু’তরফের সওয়াল শুনে গত সোমবার জেলা ও দায়রা বিচারক আশুতোষ কর মামলা স্থানান্তরের আরজি খারিজ করে দেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার চান্ডলি হাইস্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। নির্বাচন চলাকালীন সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। গণ্ডগোল চলাকালীন ওসি -র পিস্তলের গুলিতে তুহিন বাবু মারা যান বলে তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। যদিও ঘটনার বিষয়ে একটি অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর ধারায় কেস রুজু করে কাটোয়া থানা। পরে অবশ্য মৃতের পরিবারের তরফে সিপিএমের কয়েকজন নেতা এবং ওসি -র বিরুদ্ধে আদালতে খুনের কেস রুজু করা হয়। পরে সি আই ডি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক ষড়যন্ত্র করে খুনের ধারায় চার্জশিট পেশ করে। এর আগে অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের তরফে জেলা আদালতে মামলা স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনও নাকচ করে আদালত।

Exit mobile version