পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে কালনা থানার ওসি এই ব্যাটারি চুরি চক্রের সন্ধ্যান পান। ওসি –র নেতৃত্বে কালনার হরিশংকরপুরে পুলিশ দুটি গাড়িকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র সহ কাদের আলী ধরা পরে যায়। গাড়ী থেকে উদ্ধার হয় ১২ টি তাজা বোমা এবং ২৩ টি মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারী। আজ কালনা এসিজেএম আদালতে ধৃতকে তোলা হয়। তদন্তকারী অফিসার গ্যাঙের বাকিদের সন্ধান পেতে এবং তদন্তের স্বার্থে এসিজেএম এর কাছে ধৃতকে ১২ দিন পুলিশ হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। কালনার এসিজেএম ধৃতকে ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারী চুরি যাওয়া সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ ছিল। অপরাধীদের সন্ধ্যান চালাচ্ছিল পুলিশ। একটি গ্যাঙের এক জনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। এই গ্যাঙটি বর্ধমান, হুগলী, নদীয়া, বীরভূম, কালনা থানা এলাকার বেশ কয়েকটি মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারী চুরির ঘটনায় যুক্ত। দুটি টাটা সুমো ভিক্টা গাড়ি, আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা এবং ২৩ টি ব্যাটারী উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের জন্য ধৃতকে পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।