বর্ধমান, ১৫ ফেব্রুয়ারিঃ- গার্ডেনরিচে পুলিশকর্মী হত্যার মামলায় বর্ধমান থেকে সি আই ডি তিনজনকে গ্রেপ্তার করল। জানা গেছে শুক্রবার ধৃত তিন জন হাওড়া থেকে সড়ক পথে বর্ধমান রেলস্টেশনে এসে পৌছায়। এখান থেকে ট্রেন ধরে দিল্লী অথবা গাজিয়াবাদ (?) পৌছে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সি আই ডি আগেভাগেই এই পরিকল্পনার কথা জানতে পারে। পরিকল্পনা মাফিক সি আই ডি-র ৭-৮ জনের একটি টিম দুটি গাড়িতে করে বর্ধমান স্টেশনে এসে ওত পেতে ছিল। পরিচয় গোপন রেখে বিশেষ নজর রাখতে সি আই ডি-র দুই এ এস আই বোরখা পরে ছিলেন। রাত সাড়ে আটটা থেকে দশটার মধ্যে ওই ৩ জন আলাদা আলাদা ভাবে স্টেশনে এসে এক সঙ্গে মিলিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বোরখা পরা সি আই ডি কর্মীরা তাদের ঘিরে ফেলে। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই অন্যান্য সি আই ডি কর্মীরাও এসে তিনজনকে ধরে ফেলে। ধৃত তিন জনের নাম চুড়ি ফিরোজ, মহম্মদ রাজ এবং মহম্মদ সাকিল । ধৃত তিনজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ১৫ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার সহযোগী বলে জানা গেছে এবং ওই দিনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই তিনজনের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট এক দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয় কলকাতা পুলিশের এস আই তাপস চৌধুরীর। মৃত্যুর পর রাজ নৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা শুরু করে। গুলি চালানো দুষ্কৃতীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চলে চরম টানাপোড়েন। সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস-কংগ্রেস সব রাজনৈতিক দলের নামই ঘুরে ফিরে আসতে থাকে। ঘটনাস্থলে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী মোক্তারকে যেমন দেখতে পাওয়া যায়, তেমনি তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবালকেও দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তের ভার সি আই ডি -র হাতে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে সরিয়ে তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে।