বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পৃথক ঘটনায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার দাবি করে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ডাকাত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শক্তিগড় থানার পুলিস। ধৃতদের নাম সাইদুল শেখ ওরফে সাহিবুদ্দিন, শেখ মুজাফ্ফর ও সুজন কর্মকার। শক্তিগড় থানার তাঁতখণ্ড এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জোতরাম এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের কাছে নির্জন জায়গায় জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করা গাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনায় ৬-৭ জন জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে ওই ৩ জনকে ধরা হয়। দলের বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি ভোজালি, লোহার রড, ৫টি লাঠি, নাইলনের দড়ি ও টর্চ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি।
অন্য একটি ঘটনায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান জিআরপি। ধৃতদের নাম শেখ ছোট্টু ও বিবেক দাস। বর্ধমান থানার তাঁতপুকুর মালিরবাগান ও বাজেপ্রতাপপুরের ডাঙাপাড়া এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। জিআরপি জানিয়েছে মঙ্গলবার রাতে ২-৩ নম্বর প্ল্যাটফের্ম আসানসোলের দিকে একটি নির্জন জায়গায় ৮-৯ জন দূরপাল্লার ট্রেনে ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। সেখানে হানা দিয়ে দু’জনকে ধরা হয়। দলের বাকিরা পালাতে সক্ষম হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ভোজালি, লোহার রড উদ্ধার হয়েছে।
অপরদিকে, ডাকাত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম আলিবর শেখ ও শেখ আমিন। বর্ধমান শহরের বাহিরসর্বমঙ্গলা পাড়া ও দুবরাজদিঘি কেটলি পুকুর এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বেচারহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে একটি হিমঘরের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় তাদের ধরে পুলিস। রবিবার রাতে বর্ধমান-কালনা রোডে কপিবাগান এলাকা থেকে ডাকাত সন্দেহে ৪ জনকে ধরে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে ভোজালি, রড, লাঠি প্রভৃতি উদ্ধার হয়। সেদিন দলের কয়েকজন পালিয়ে যায়। পলাতকদের মধ্যে আলিবর ও আমিন ছিল বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।