বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দলনেত্রী বলেছিলেন পুরনোদের যোগ্য সম্মান দেবেন, কিন্তু তিনি সেই সম্মান পেলেন না দলের থেকে। তাই তিনি দলের শহর সভাপতি থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে কাউন্সিলার পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন। মঙ্গলবার বর্ধমানের সংস্কৃতি মেট্রোয় জেলার কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারী ও বর্ধমান পুরসভায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলারদের নিয়ে চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হল, সেখানে না গিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ধমান পুরসভার দুবারের জয়ী কাউন্সিলার আইনজীবী অরূপ দাস। তিনি বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও। তিনি জানিয়েছেন, দুদিন আগেও তাঁর কাছে খবর ছিল তিনিই এবার বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন, কিন্তু হঠাতই সেই তালিকা পরিবর্তন হয়ে গেল কিভাবে? একইসঙ্গে এদিন প্রকাশিত চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানদের তালিকায় ‘এ্যাপ্রুভ বাই দিদি’-র স্বাক্ষর নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অরূপবাবু জানিয়েছেন, তালিকায় স্বাক্ষর রয়েছে দিদির, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাধারণত ওইরকম স্বাক্ষর করেন না বলেই তিনি জানেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণ এই তৃণমূল নেতার ক্ষোভ নিয়ে শহর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, অরূপ দাস তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন। এর আগে ৩৩নং ওয়ার্ড থেকে তিনি নির্বাচিত হন। সদ্য পুরনির্বাচনে তিনি ৩১ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন। যদিও এদিন দলীয় স্তরে কোনো ক্ষোভ বিক্ষোভ নেই বলেই জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা বাদে বাকি ৫টি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ৫ টি পুরসভার নব-নির্বাচিত কাউন্সিলারদের নিয়ে বর্ধমানের সংস্কৃতি মেট্রোতে বৈঠক করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে ৫ টি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরেশচন্দ্র সরকারকে। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের স্ত্রী মৌসুমী দাসকে। কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান লখীন্দর মণ্ডল; মেমারী পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন কুমার বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত; কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছে আনন্দ দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে তপন পোড়েলকে; দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশিরকুমার মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান অজিত ব্যানার্জী। এর পাশাপাশি গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী এবং ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগমের নাম আগেই ঘোষণা করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।