কংগ্রেসের হাতিয়ার ইস্তাহার, তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের ৫ বছর
admin
বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট বিলি করে কংগ্রেসের ইস্তাহারকে পৌঁছে দিতে চলেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী রণজিত মুখোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসের সদ্য–প্রকাশিত ইস্তেহারকে হাতিয়ার করেই গ্রামে গ্রামে বাড়ি পৌঁছাতে চাইছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখার্জি। বুধবার বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে রণজিত মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন। তাঁর দাবী, কেবলমাত্র কংগ্রেস কর্মীরাই নন, সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন পর কংগ্রেসের এই ইস্তাহারকে ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেসের সমস্ত সেক্টরের কর্মীদের একত্রিত করেই তিনি বৃহস্পতিবার থেকেই মন্তেশ্বর থেকে প্রচার শুরু করছেন। জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ইস্তাহারে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের প্রভূত উপকার হবে। আর সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলে তিনি এই ইস্তাহারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেছেন, এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মমতাজ সংঘমিতা গত ৫ বছরে মাত্র ৫১বার সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এমনকি এই ৫ বছরে তিনি যে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন সেই টাকাও তিনি সবটা খরচ করতে পারেনি। বুধবার বর্ধমানে এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য, যুব কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরব সমাদ্দার প্রমুখরাও। যদিও নজরকাড়াভাবেই এদিন অনুপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি কাশীনাথ গাঙ্গুলী। রাহুল ব্রিগেডের সদস্য রণজিত মুখার্জ্জী এদিন জানিয়েছেন, জেলায় সংগঠনের দুর্বলতা মেটাতে ব্লকে ব্লকে কর্মীদের নিয়ে প্রচারে নামছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম সর্ব ভারতীয় একটি রাজনৈতিক দল আপামর মানুষের কল্যাণের জন্য একটা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রণজিতবাবু জানিয়েছেন,কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথম ১ বছরেই এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। আর তিনি নির্বাচিত হয়ে সাংসদে গেলে তাঁর প্রথম কাজই হবে বেকারদের চাকরী, মহিলাদের চাকরীর ব্যবস্থা করা। এদিকে, এদিন কংগ্রেস প্রার্থী তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন সে সম্পর্কে এই কেন্দ্রের সাংসদ তথা এবারেরও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাক্তার মমতাজ সংঘমিতা জানিয়েছেন, যে যা বলছে বলুক। তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি জানিয়েছেন, সাংসদ কোটার শেষ ভাগের টাকা কোনো সাংসদই পাননি নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায়। আসলে ওরা (কংগ্রেস প্রার্থী) কোনো খবরই রাখে না। এদিন মমতাজ সংঘমিতা বর্ধমান আদালতের আইনজীবীদের নিয়ে একটি বৈঠক শেষে আদালত চত্বরেই ভোট প্রচারে বের হন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা,আইনজীবী আজিজুল হক মণ্ডল সহ তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যরা। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা জানিয়েছেন, তাঁর দুটি বাড়ি – একটি ডাক্তারী অন্যটি আইনজীবী। উল্লেখ্য, মমতাজ সংঘমিতার স্বামী খ্যাতনামা ব্যারিষ্টার নুরে আলম চৌধুরী। এদিন তিনি জানিয়েছেন, আইনজীবীদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। এদিন বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশনে একটি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আইনজীবী সহ বর্ধমান আদালতের ইতিহাস নিয়ে একটি মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব এবং সে ব্যাপারে তিনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন। উল্লেখ্য, সাংসদ কোটায় মমতাজ সংঘমিতা বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশনকে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এদিন মহিলা আইনজীবীদের বেশি করে সংসদীয় রাজনীতিতে আসার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।