E Purba Bardhaman

ধৃতদের নিয়ে খেলার মাঠে পুলিশ, খেলে শেষে রেফারিকে মারধরের অভিযোগ

বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের একটি খেলায় ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বর্ধমানের বাবুরবাগ বয়েজ এ্যাসোসিয়েশন -এর উত্তেজিত সমর্থকরা মাঠের ভিতর ঢুকে রেফারিকে মারধর করায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল স্পন্দন ময়দানে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান ডিসট্রিক্ট স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের ম্যাচে কল্পতরু সঙ্ঘ বনাম বাবুরবাগ বয়েজ এ্যাসোসিয়েশন-এর খেলা ছিল। খেলা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময় ছিল বিকেল সাড়ে তিনটেয়। কিন্তু এদিনই সিপিআই(এম)-এর কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আইন অমান্য ও জেল ভরো কর্মসূচী ছিল। বর্ধমান কোর্ট কম্পাঊণ্ড এলাকা থেকে জেলা পুলিশ প্রায় শতাধিক সিপিআই(এম) নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। আর গ্রেফতারের পর তাদের সরাসরি স্পন্দন ময়দানে নিয়ে চলে আসে পুলিশ। আর এখানেই তৈরি হয় বিপত্তি। বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা পুলিশকে এই মাঠে খেলা আছে জানালেও প্রথমে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চায়নি। পরে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে পুলিশ গ্রেফতার করা আন্দোলনকারীদের মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় খেলা শুরু করতে। এদিকে খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। প্রথমার্দ্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর খেলা শেষ হওয়ার মাত্র দু মিনিট আগে কল্পতরু সঙ্ঘের হয়ে গৌতম রাজবংশী গোল করে দলকে এগিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার এই সিদ্ধান্ত মানতে চায়নি বাবুরবাগের কিছু উত্তেজিত সমর্থক। তারা মাঠে ঢুকে রেফারি মানস মণ্ডলকে আক্রমণ করে। অভিযোগ, মাঠের ঝামেলা সামলাতে গিয়ে অপদস্থ হতে হয়েছে বিডিএসএ-এর অবজারভার শ্যামল মণ্ডল এবং সুবীর বিশ্বাসকে। মাঠে ছুটে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সনত বক্সি। তাঁর উদ্যোগে রেফারি সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাঠ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।

Exit mobile version