“বর্ধমান বলছে বামেরাই বিকল্প” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বর্ধমান পুরসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- একেবারে পৌর নাগরিকদের মনের কথা নিয়ে আসন্ন বর্ধমান পুরসভার ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করল বামফ্রণ্ট। রবিবার জেলা সি.পি.আই.(এম) কার্যালয়ে বামফ্রণ্টের এই ইস্তাহার প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, তাপস সরকার, ফরওয়ার্ড ব্লকের বাসুদেব ওঝা, আর.এস.পি.-র মহম্মদ জওহর আলি প্রমুখরা। এদিন অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু সমালোচনা বা দোষারোপ নয়, আসন্ন পুরভোটে বামেদের শ্লোগান – “বর্ধমান বলছে বামেরাই বিকল্প”। এদিন ২০ দফা প্রতিশ্রুতি-পূর্ণ ইস্তাহার প্রকাশ করে অপূর্ববাবু জানিয়েছেন, তাঁরা বর্ধমান পৌর নাগরিকদের কাছে বিকল্প পথ তুলে ধরছেন। প্রায় ৩২ হাজার ইস্তাহার নিয়ে তাঁরা বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বর্তমান পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক, তোলাবাজ, বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও সততার পৌরসভা উপহার দিতে চান তাঁরা। দিতে চান বিরোধীদের যথাযথ মর্যাদা। পৌর উন্নয়ন কিংবা গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধে গঠন করা হবে বিশেষ ওয়ার্ড কমিটি।
এরই মাঝে পৌর নাগরিকদের বর্তমান করকে আরও কমিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্যত মাষ্টার স্ট্রোক দিয়েছেন এদিন বামেরা। জানিয়েছেন, এই পৌর করের আওতা থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হবে গরীব নিম্নবিত্তদের। বর্ধমান পুর এলাকার ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবী মেনে বর্ধমান শহরে ফিরিয়ে আনা হবে ক্রিসক্রস বাস পরিষেবা। অপূর্ব জানিয়েছেন, বামফ্রণ্টের ইস্তাহারে তাঁরা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন বর্ধমান পুর এলাকার উন্নয়ন করতে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে বর্ধমান পুরসভার একটি সুন্দর সমন্বয় তাঁরা গড়ে তুলবেন। ওয়ার্ড কমিটিগুলিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের কথা, দাবী, অভিযোগকে। শহর জুড়ে তোলাবাজি বন্ধ করতে সমস্ত রকম উন্নয়ন-সহ সমস্ত কাজের টেণ্ডার, নোটিশ সর্বসাধারণের সামনে তাঁরা প্রকাশ করেই কাজ করবেন। একইসঙ্গে বর্ধমান পুরসভায় আরও কর্মচারী নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মীদের আরও সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে আসা, শহরের ১০০ দিনের কাজে ২০০ টাকার পরিবর্তনে ৩২৭ টাকা করে দেবার প্রতিশ্রুতিও তাঁরা দিচ্ছেন। শহরকে সাজাতে খড্গপুর আই.আই.টি.-র বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রকল্প তৈরী করা হবে। শহর থেকে সবুজ ধ্বংস করার বিরুদ্ধে আরও সবুজায়নের দিকে নজর দেবেন তাঁরা। এরই পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য্যায়ন, ঐতিহাসিক স্থান, ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হবে।