বর্ধমান, ১৭ জুনঃ- সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হল মাধবডিহি থানার পাঁইটা পান্নারানি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লুনা কোনারকে। জেলার অন্য পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে সোমবার নিজের অফিসে তাঁকে সংবর্ধিত করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা।তাঁরা হাতে স্মারক, পুষ্প স্তবক, মানপত্র এবং মিষ্টি তুলে দেন পুলিশ সুপার। সংবর্ধিত হয়ে আপ্লুত বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের বাসিন্দা শিক্ষিকা লুনাদেবী। যদিও আনন্দের মাঝেও নিরাপত্তার কথা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপার অবশ্য তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বর্ধমান – আরামবাগ রুটের বাসে বর্ধমানের বাড়িতে ফিরছিলেন লুনা দেবী। বাসের মধ্যে দু’টি বালককে কাঁদতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। বালক দু’টির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, হুগলীর আরামবাগের বাসিন্দা গৌতম ধারা তাদের উত্তরপ্রদেশের মীরাটে নিয়ে যাচ্ছে। পাসেই বসেছিল গৌতম। সে বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। এর পরই রায়না থানার সেহারা বাজার ফাঁড়ির কাছে বাসটিকে থামান লুনা দেবী। পুলিশ বালক দু’টিকে উদ্ধার করে। পাচারের অভিযোগে গৌতমকে গ্রেপ্তার করে। যদিও কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত। পুলিশ সুপার বলেন, ওই শিক্ষিকার উপস্থিত বুদ্ধিতেই বালক দু’টিকে পাচারের আগে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পাচারকারীও ধরা পড়ে যায়। সাহসিকতার পাশাপাশি উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ দেখিয়েছেন তিনি। মহিলা নিরাপত্তার কথা বলেছেন। সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।