আউশগ্রাম, ২৬ ফেব্রুয়ারিঃ- চোর সন্দেহে গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জখম হয়েছে মৃতের আরও চার সঙ্গী। গুসকরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জখমদের চিকিৎসা চলছে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার বিষয়ে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর ধারায় কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে থানা। যদিও ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও গণপিটুনিতে জড়িতদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজু ঘোষ (৩৬)। আউশগ্রাম থানার আসিন্দা গ্রামে তাঁর বাড়ি। জখমদের নাম হারু হেমব্রম, লকু কিসকু, বাহালি হেমব্রম এবং মাতাল হেমব্রম। হারু এবং লকুর বাড়ি আউশগ্রাম থানারই তকিপুর গ্রামে। বাহালি এবং মাতালের বাড়ি গলসি থানার সাহেব ডাঙায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাসে আউশগ্রাম থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটর পাম্প চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, একটিরও কিনারা হয়নি। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। সোমবার রাতে আসিন্দা গ্রামে বেশ কয়েকটি শ্যালো চলছিল। গ্রামবাসীরা মাঠ পাহাড়াও দিচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তার পাশে ওই পাঁচজনকে সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাড়া করে তাদের ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দিন কয়েক আগে সাহেবডাঙ্গা গ্রামে একটি পাম্প চুরি যায়। সেই চুরির ঘটনায় রাজু ও তার সঙ্গীরা জড়িত। এর পরই পাঁচজনকে গ্রামের ভিতরে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটুনি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ পিটুনি চলার পর আউশগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাঁচজনকে উদ্ধার করে গুশকরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানকার চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় একটি কেস রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।