বর্ধমান, ৮ ফেব্রুয়ারিঃ-বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে জোড়া সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উদয় মন্ডল জামিন পেয়ে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেল। শুক্রবার তার আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পাকাপোক্ত জামিনের আবেদন করেন। আদালতে তিনি জানান, বিচারপতি অসীমকুমার রায় এবং বিচারপতি সুবল বৈদ্যকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। সেই নির্দেশের কপিও তিনি আদালতে জমা দেন। এর পরই বর্ধমানের সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি ২০ হাজার টাকার বন্ডে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন মিললেও হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত ঘরে থাকতে পারবেননা অভিযুক্ত। এখনই সে বর্ধমান জেলায় ঢুকতে পারবেনা। জেলার বাইরে তার অবস্থান জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার আই সি অথবা ওসিকে। থানায় সপ্তাহে ৩ দিন তাকে হাজিরা দিতে হবে। এনিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের জামিন মিলল।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেওয়ান দিঘি এলাকায় দলীয় পার্টি অফিসের সামনেই পিটিয়ে মারা হয় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং জেলা নেতা কমল গায়েনকে। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই দুই সিপিএম নেতাকে খুন করেছে। তদন্তে নেমে বর্ধমান থানার পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নেমে সি আই ডি আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষ করে ৯০ দিনের মধ্যেই এফ আই আরে নাম থাকা ২২ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সি আই ডি। চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতে আবেদন জানান মৃত প্রদীপ বাবুর ভাই প্রবীর কুমার তা। গত ২৭ জানুয়ারি সেই আবেদনের শুনানির দিন ছিল। কিন্তু, প্রদীপ বাবুর স্ত্রী এবং মেয়ের গোপন জবান বন্দি রেকর্ড না করিয়ে নারাজি আবেদনের শুনানি করতে রাজি হননি প্রবীর বাবুর আইনজীবী কমল দত্ত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই আবেদনের ফের শুনানি হবে। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, নারাজি পিটিশনের শুনানি নানা অছিলায় পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এসব করা হচ্ছে। অন্যদিকে কমল বাবু বলেন, নারাজি আবেদনের শুনানির আগে প্রদীপ বাবুর স্ত্রী এবং মেয়ের গোপন জবান বন্দি রেকর্ড হওয়া অত্যন্ত জরুরি।