বর্ধমান, ২৩ এপ্রিলঃ- সারদা গোষ্ঠীর গ্রেপ্তার হওয়া এক এজেন্টকে জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বর্ধমানের সিজেএম। সোমবার দুপুরে বর্ধমান শহরের পার্কাস রোড এলাকায় সংস্থাটির অফিসের কাছ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেমারি থানার মন্ডল গ্রামে তার বাড়ি। এনিয়ে সংস্থাটির ৩ জন এজেন্টকে পুলিশ বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার করল।
গত রবিবার বর্ধমান থানার হীরাগাছির বাসিন্দা মাণিক ঘড়ুই সারদা গোষ্ঠীর এজেন্ট জয়ন্ত চৌধুরীর কাছে তাঁর জমা রাখা টাকা ফেরত চান। কিন্তু, টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে তার অপারগতার কথা জানায় এজেন্ট। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাণিক ঘড়ুই এবং তাঁর সঙ্গে আসা লোকজন জয়ন্তকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়ন্তকে উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে মাণিক ঘড়ুই-এর অভিযোগের ভিত্তিতে জয়ন্তকে গ্রেপ্তার করে। তাকে সঙ্গে নিয়ে মাধব দাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ধৃতদের বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করে ১০ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সিজেএম ধৃতদের ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার বর্ধমান শহরের পার্কাস রোড এলাকায় সারদা গোষ্ঠীর অফিসে তল্লাশি চালায়। অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ৪ টি কম্পিউটার সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। অফিসটিকেও পুলিশ সিজ করে দেয়। এখান থেকেই পুলিশ সৌরভকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সৌরভকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি ধৃত এজেন্টকে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে ২৫ এপ্রিল ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন। সেদিনই অপর দুই ধৃতকে আদালতে পেশের দিন নির্ধারিত রয়েছে। ধৃতদের পাশাপাশি কেস ডায়েরিও পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
এদিকে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের গুসকরা শহরের সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে আউশগ্রাম থানা অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার ধারায় কেস রুজু করেছে। নিত্যানন্দ বাবু সারদা গোষ্ঠীতে ৩ লক্ষ টাকা জমা রাখেন।