Breaking News

স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচন করাতে প্রয়োজনে আদালতের পথে যাবে এ.বি.টি.এ.

10th Triennial State Conference of ABTA is being held at Sanskriti Lok Mancha in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসার পর ২০১২ সাল থেকেই গোটা রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি করার জন্য সমস্ত স্কুলে স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছে। এমনকি স্কুলবোর্ডগুলিতেও নির্বাচনের বদলে চালু করেছে নমিনিটেড বোর্ড। আর এর মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির সূত্রপাত ঘটেছে। আর তাই এবার এর বিহিত দেখতে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি বা এবিটিএ আদালতে যাচ্ছে বলে জানালেন নেতৃত্ব। শনি ও রবিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এবিটিএ-র রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে সম্মেলন শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণাই করেছেন এবিটিএ-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন। এদিন এই সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এছাড়াও সত্যপ্রিয় রায় স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক আব্দুল কাফি। Educationists Pabitra Sarkar addressing the inaugural function of the 10th Triennial State Conference of ABTA at Sanskriti Lok Mancha in Burdwan এদিন সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে, তাঁরা মনে করেন এই দুর্নীতি শুরু হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক ২০১২ সাল থেকেই। বারবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দাবী তাঁরা জানালেও রাজ্যের শাসকশ্রেণী সেই দাবীকে মানেনি। ফলে তাঁদের মনে হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করতেই বোর্ডের নির্বাচন থেকে স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের বদলে মনোনীত বোর্ড বা মনোনীত ব্যক্তিকে ক্ষমতা দিয়ে বসানো হয়েছে। আর এর ফলেই দুর্নীতি মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। তিনি এদিন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে দু’দিন ধরেই এই রাজ্য সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হবে। একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই তাঁরা এব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের জন্য আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছেন। তাঁরা হাইকোর্টে যাচ্ছেন এই বিষয় নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা চান সাধারণের শিক্ষালয়কে সুষ্ঠভাবে চালু রাখতে। একদিকে, এইভাবে মনোনীত ব্যক্তিদের বসিয়ে দিয়ে যেমন একের পর এক সরকারী স্কুলগুলিকে বন্ধ করার প্রয়াস চালানো হয়েছে তেমনি শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রী এমনকি অভিভাবকদের স্বাধীনভাবে কথাবলার অধিকারকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সরকারী স্কুলগুলির শিক্ষকদের বদলী করে একের পর এক স্কুলকে রুগ্ন করে তাকে বন্ধ করা হয়েছে। এরই সুবিচার পেতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

About admin

Check Also

MLA's mother-in-law and panchayat pradhan's names are on the list of people getting houses under the Bangla Awas Yojana

বাংলা আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক বিধায়কের শাশুড়ি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের

খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের শ্বশুরবাড়ির একাধিক বাড়িতে হুকিং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *