বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবার বর্ধমান শহরের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে ঐতিহাসিক সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ৫২তম বার্ষিকী পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এদিনই অল্পের জন্য বড়সড় অঘটন থেকে বাঁচলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস। এদিন সাঁইবাড়ির পাশেই অবস্থিত শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস, সাঁইবাড়ির ছোট ছেলে উদয় সাঁই, পুত্রবধূ উমা সাঁই-সহ এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা, পুর কাউন্সিলাররাও। এদিন এই অনুষ্ঠানে ভিড়ের মাঝেই আচমকা মোমবাতির আগুন থেকে তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের পাঞ্জাবিতে আগুন ধরে যায়। দ্রুততার সঙ্গে তিনি তাঁর পরনের পাঞ্জাবী ছিঁড়ে ফেলে দেন। এই ঘটনায় সকলেই হতচকিত হয়ে পড়েন। অপরদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপন দেবনাথ বলেন, “১৭ মার্চ সাঁইবাড়ির নৃশংস হত্যাকাণ্ড সারা ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। প্রণব সাঁই, মলয় সাঁই, জিতেন রায় এই ৩ জন নৃশংসভাবে সাঁই বাড়িতে খুন হয়েছেন। একই সাথে ইন্দু গাডিয়া, নবকুমার সাঁইকেও পরবর্তী সময়ে খুন করা হয়েছে। তাঁদেরও এখানে স্মরণ করছি। গুনমনি রায়ও খুন হয়েছেন। ওদের রক্ত, ওদের সংগ্রাম। ওদেরকে আমরা ভুলি কী করে। শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ। সিপিআই(এম)-এর অত্যাচারের হাত থেকে বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুক্তি দিয়েছেন। তাই এই শহিদদের প্রতিবারের মত এবারও স্মরণ করা হল। স্বপন দেবনাথ বলেন, যারা অত্যাচার করেছিল তাঁরা আবার রাস্তায় বের হচ্ছেন। শাস্তি একটা বিষয়। কিন্তু মানুষ তো ওদের শাস্তি দিয়েছেন। গণ আদালতে শাস্তি দিয়েছেন। আদালতের আইনের প্রশ্নে একরকম। জনতার আদালত কিন্তু রায় দিয়েছেন অত্যাচারীদের হটিয়ে দিয়ে।”
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …