বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চূড়ান্ত হয়রানি ও অব্যবস্থার প্রতিবাদে সরব হলেন নির্বাচন দপ্তর নিযুক্ত মাইক্রো অবজারভাররা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ছশো মাইক্রো অবজারভার মঙ্গলবার বর্ধমানের ইউআইটিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন তাঁরা অভিযোগ করেছেন, যেখানে জেলা প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশন সকলকে ভোট দিতে বারে বারে আহ্বান জানিয়েছে। ব্যানার, পোস্টার, হোডিং, শর্ট ফিল্ম থেকে এ্যাপস বিভিন্ন ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে প্রশাসন বা কমিশন। তার জন্য কোটি কোটি টাকাও ব্যয় হয়েছে। অথচ খোদ তাঁরাই ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকলেও তাঁরাই ভোট দিতে পারেন নি। তাঁদের জন্য পোস্টাল ভোট বা ইডি ভোটের ব্যবস্থা করা হয় নি। তাঁরা সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে কেউই ভোট দিতে পারেন নি। তাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত থেকেও প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের জন্য পোস্টাল বা ইডি ভোটের ব্যবস্থা করতে পারে নি প্রশাসন। উল্লেখ্য, সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সোমবারই রাতে দুর্গাপুর এবং আসানসোলে নিযুক্ত নির্বাচন দপ্তরের মাইক্রো অবজারভার তাঁদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করে রিলিজ নিতে গেলে দুর্গাপুর এবং আসানসোল দু জায়গা থেকেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুর্গাপুর বা আসানসোল নয়, তাঁদের মঙ্গলবার সকালেই হাজির হতে হবে বর্ধমানে ইউ আই টিতে। আর সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের ইউটিআইতে এসে ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রায় ৬০০ মাইক্রো অবজারভাররা। ক্ষুব্ধ অবজারভাররা এদিন জানিয়েছে্ন, কেন তাঁদের রিলিজ না দিয়ে মঙ্গলবার সকালে ইউআইটিতে ডেকে পাঠানো হল তা তাঁদের জানানো হয়নি। যদিও কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁরা জেনেছেন সোমবার একটানা ভোটের কাজে যুক্ত থাকার পর বিনা বিশ্রামেই ফের মঙ্গলবার তাঁদের স্ক্রুটিনির কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর ফলে তাঁদের অনেকেরই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি গোটা দেশ জুড়ে যখন সমস্ত ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশন উত্সাহিত করছেন সেই সময় মাইক্রো অবজারভারদের ভোটই দেওয়া হয়নি। তাঁরা বারবার আবেদন করলেও তাঁদের পোষ্টাল ব্যালট বা ইডি ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এদিন তাঁরা অভিযোগ করেছেন, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তাঁদের দুদিন প্রশিক্ষণ হয়েছে। সেই প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের ৩৫০ টাকা করে প্রতিটি প্রশিক্ষণে পাবার কথা। কিন্তু সেই টাকাও তাঁরা পাননি। এছাড়াও ভোট মিটে যাবার পর নিয়মানুসারে তাঁদের একটি গোপন রিপোর্ট দিতে হয় মুখবন্ধ খামে। কিন্তু এদিন তাঁদের খামহীন খোলা রিপোর্টই দিতে বাধ্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ইউআইটিতে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব এলে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ জানান মাইক্রো অবজারভাররা। যদিও এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Tags micro-observers
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …