বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার দাবি করে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম আমানুল্লাহ খান, মাহে আলম মল্লিক ওরফে লাল্টু, শেখ সাইফুদ্দিন, শেখ কামরুল জামাল ওরফে রতন, ওয়ারিশ মল্লিক ওরফে রিপন, শেখ রাজু, শেখ মিরাজ ও মির গিয়াসউদ্দিন। মুম্বইয়ের বান্দ্রাকুল্লা কমপ্লেক্স এলাকায় আমানুল্লাহর বাড়ি। শক্তিগড় বাজার এলাকায় মাহে আলমের আদিবাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ এলাকায় থাকে। বীরভূমের বোলপুরে রাজু ও মিরাজউদ্দিনের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি মঙ্গলকোট থানার পূর্ব নওয়াপাড়া, পালিশগ্রাম প্রভৃতি এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান-গুসকরা রোডে সাই কমপ্লেক্সের কাছে একটি নির্জন জায়গায় ১৪-১৫ জন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনায় জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে ওই ৮ জনকে ধরা হয়। দলের বাকিরা পালিয়ে যায়। তল্লাশিতে ধৃতদের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলি সহ ১টি পাইপগান, ২টি ভোজালি, ২টি লোহার রড ও ৩টি লাঠি উদ্ধার হয়। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম ওজনের একটি ধাতব কয়েন পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে পুলিসের সন্দেহ, ডাকাতির পাশাপাশি দলটি নকল প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীর কারবারে জড়িত। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আরও আগ্নেয়াস্ত্র এবং নকল কয়েন উদ্ধার করতে ও দলের বাকিদের হদিশ পেতে আমানুল্লাহ, মাহে আলম ও ওয়ারিশকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন বিচারক।
Check Also
এক বছর আগেই কাকদ্বীপে বদলি করা হয় চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে, যাননি; ক্যান্টিন মালিক আইনের পথে
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে এক বছর আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর বদলির নির্দেশ …