বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শহরের কার্জন গেট এলাকায় দলীয় কর্মসূচী চলাকালীন বর্ধমান থানার সেকেন্ড অফিসার সমীর কুমার ঘোষকে মারধরের ঘটনায় বিজেপির ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম গৌরাঙ্গ রজক দাস, অমিত মোদক, বাবলা দাস, অজয় দত্ত, সহদেব খাসকেল, প্রদীপ মণ্ডল, সঞ্জয় দাস, শুভম নিয়োগী ও সমীর হালদার। শহরের বড়নীলপুর, খাঁপুকুর, ৫ নম্বরইছলাবাদ ও নাড়ি এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে প্রদীপ জেলা যুব সম্পাদক। শুভম তথ্যপ্রযুক্তি সেলের সম্পাদক। সঞ্জয় বর্ধমান জেলা পরিষদের ২৬ নম্বর আসনে প্রার্থী ছিলেন। শুক্রবা ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ধৃতদের পেশ করার সময় বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। পুলিসের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী ও যুব নেতা শ্যামল রায়। শ্যামলের নাম এফআইআরে রয়েছে। তা সত্বেও পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। চারপাশ থেকে ঘিরে ধৃতদের নিয়ে আসা গাড়িটিকে আদালত চত্বরে আনে পুলিস। গাড়ির ভিতরে ধৃতরা স্লোগান দেয়। গাড়িতে ধাক্কাধাক্কি করে তারা। ধাক্কাধাক্কিতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। গরমের কারণে কর্মবিরতি চলায় ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী এদিন দাঁড়ান নি। নির্দোষ দাবি করে ধৃতরা নিজেরাই জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা জামিনের বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।
পুলিশ জানিয়েছে, বধবার শহরের কার্জন গেট এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসচী ছিল বিজেপির। সেখানে দলের নেতারা রাজ্য সরকার ও পুলিসের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কার্জন গেট এলাকায় জিটি রোড অবরোধ করে। অবরোধের জেরে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে। সেই সময় সমীরবাবু অবরোধ সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দুটিকে পার করে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে বিজেপি কর্মীরা তাকে মারধর করে। তার পেটে লাথি মারা হয়। গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বর্ধমান থানার আইসি তুষার কান্তি কর সহ কয়েকজন পুলিস কর্মী সেখানে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন। পুলিস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। ২০ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন সমীরবাবু। তার ভিত্তিতে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর, বেআইনি জমায়েত ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
Tags Arrest Barddhaman Bardhaman Bharatiya Janata Party BJP Burdwan Court police Purba Bardhaman
Check Also
বর্ধমান টাউন হলে শুরু হলো লিটল ম্যাগাজিন মেলা, চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার থেকে শুরু হলো ‘বর্ধমান লিটল ম্যাগাজিন মেলা ২০২৪’। বর্ধমান টাউন …