গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতের নাম রাণা দে। মেমারি থানার বামুনিয়ায় তার বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। মৃতার নাম সাথী দে (২০)। বামুনিয়া গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তিনি মন্তেশ্বর কলেজে কলা বিভাগে প্রথম বের্ষর ছাত্রী ছিলেন। রবিবার দুপুরে ঘরের বাঁশের কাঠামোয় মায়ের কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার বিষয়ে মৃতার মা ডলি দে এদিন ভোরে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বিশ্বাসভঙ্গ, ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও গালিগালাজের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৪ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতকে ৩ দিন পুলিসি হেপাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, সাথীর সঙ্গে মেমারি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাণার ভাব-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দিনকয়েক আগে সাথীর পরিবারের লোকজন রাণার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সাথীর সঙ্গে বিয়েতে মত দেয়নি রাণার পরিবারের লোকজন। উল্টে সাথীর বাবা-মাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি রাণা ও তার বাবা-মা সাথীর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করত। রাস্তাঘাটে তাঁকে অপমানসূচক কথাবার্তা বলত। রাণা তাঁকে বিয়ে না করায় এবং দুর্ব্যবহার করার কারণে সাথী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর মায়ের অভিযোগ।