Breaking News

১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলারের টিকিট দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল নেতার বিস্ফোরক উক্তি ঘিরে চাঞ্চল্য

A leader raised allegations of corruption against the Trinamool councillor from the Trinamool Congress meeting in Memari town.

মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের শাসকদলের অন্তর্কলহ তীব্র আকার নিচ্ছে। শনিবার মেমারী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নবনিযুক্ত ওয়ার্ড ও বুথ সভাপতি এবং টাউন কমিটির পদাধিকারীদের সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উক্তি করে রীতিমত দলকে বেকায়দায় ফেলে দিলেন মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেমারী পুরসভার এক কাউন্সিলারের নাম না করেই ফারুক আবদুল্লা ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলের কাউন্সিলর পদের টিকিট বিক্রির বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। আর এরপরেই শুরু হয়েছে তীব্র চাপান উতোর। মেমারী কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা মেমারী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা বলেন, গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী পদের জন্য টিকিট কেনা বেচা হয়েছিল। এরই পাশাপাশি তিনি জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের জেলবাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেমারির এক কাউন্সিলর ও এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগের তৃণমূল নেতার এমন দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ফারুক বলেন, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছো। বেশি বড়বড় কথা বলবেন না। সই করতে গেলে আপনার পেনটা ভেঙে যায়। চার আনা পয়সা আমি কারও কাছ থেকে নিয়ে রাজনীতি করছি কেউ বলতে পারবে না। আপনি তোলাবাজি করে রাজনীতি করেন। তালপুকুরটা ভরাট হয়েছে। আমরা কি জানি না কোন পুকুরটা ভরাট করে দিচ্ছেন? জায়গা করে দিচ্ছেন, কার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন? আমরা সব জানি। দলের মধ্যে রয়েছি বলে শৃঙ্খলা মেনে চলছি। এখন মুখ খুলবেন না। কোন্ হোটেলে যান, সেই হোটেলের ছবি পর্যন্ত আমার কাছে আছে। মুখ খোলাবেন না। অনেক কিছু করতে পারি। এখনও পর্যন্ত চুপচাপ বসে ছিলাম। আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে এসেছি। আন্দোলনের মাধ্যমে উঠে এসেছি। আন্দোলন করাটা কী জিনিস আমি খুব ভালো করে জানি। খেপাবেন না। কারণ আমি জানি ঠিক কীভাবে আপনি টিকিটটা পেয়েছেন। অনেকে বড় বড় কথা বলছে – নিজের যোগ্যতায় টিকিট পেয়েছে। আরে মলয় ঘটকের কাছে কে নিয়ে গেছে? আমি নিয়ে গেছি। আপনি ওই চেয়ারটা পেতেন না। ভুলে গেছেন আপনি, ওই চেয়ারটা আমার ছিল, আপনার নয়। মলয় ঘটক বলল ওকে করে দে। ভুলে গেছেন আপনি যে যোগ্যতা আপনার নেই সেই যোগ্যতা আপনাকে দিয়েছি।সম্মান দিয়েছি, সম্মানটা রাখুন। A leader raised allegations of corruption against the Trinamool councillor from the Trinamool Congress meeting in Memari town. এদিকে, ফারুক আবদুল্লার এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই জেলা জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। ফারুক আবদুল্লা যখন মঞ্চে এই বক্তব্য রাখেন সেই সময় মঞ্চে বসেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, মেমারী শহর কমিটির সভাপতি স্বপন ঘোষাল প্রমুখরা। ফারুক আবদুল্লার এই বক্তব্য সম্পর্কে স্বপন ঘোষাল জানিয়েছেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য, দল এই বক্তব্যে সহমত পোষণ করেন না। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, শনিবার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুল আবদুল্লা বলেছেন ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলারের টিকিট বিক্রি হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এতদিন ধরে আমরা যে অভিযোগ করে আসছিলাম তৃণমূল কংগ্রেস দলে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়। সেটায় মান্যতা দিলেন উনি এবং সেটা যে সত্য তা প্রমাণিত হ’ল ওনার কথায়। পার্থ চ্যাটার্জী একা নয় তৃণমূলের নীচ থেকে উপরে সবাই যে চোর সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। ভোটে দাঁড়িয়ে পেশীবলে জয়লাভ করে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করে টিকিট কেনার টাকা তুলে নেয়। আসলে এই বাংলায় জনগণের কোনও উপকার হচ্ছে না। যা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের হচ্ছে। টাকাটা তৃণমূল নেতাদের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করছে। সাধারণ মানুষ পাচ্ছেনা। তাই আবেদন তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়, বিজেপিকে ভোট দিন। এই ঘটনার জন্য তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বাংলার মানুষ যেন এর উত্তর দেয় এই আবেদন রাখছি। অন্যদিকে, এব্যাপারে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন, এত বড় দল। সবাই এখন তৃণমূল। বিজেপি, সিপিএম এখন নেই। এতবড় পরিবার। হতেই পারে। যদি কোথাও শূন্যতা থাকে তাহলে আমাদের কর্মীরা তা ঠিক করবে। বিজেপি, সিপিএম উঠে গেলো। সবাই তৃণমূল হয়ে গেল। এখন এক রাখা, শৃঙ্খলা রাখা একটু শক্ত। আগামি দিনে সব ঠিক হয়ে যাবে। এরই পাশাপাশি এদিন বর্ধমানে বিজেপির দলীয় সভায় এসে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ফারুক আবদুল্লার বক্তব্য সম্পর্কে জানিয়েছেন, উনি ঠিকই বলেছেন। ব্লক সভাপতি করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়েছে ভাইপো বন্দোপাধ্যায়কে। টাকা ছাড়া তৃণমূল কিছু জানে না।

About admin

Check Also

MLA's mother-in-law and panchayat pradhan's names are on the list of people getting houses under the Bangla Awas Yojana

বাংলা আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক বিধায়কের শাশুড়ি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের

খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের শ্বশুরবাড়ির একাধিক বাড়িতে হুকিং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *