বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সোমবার ভোরে আরপিএফের মহিলা জওয়ানের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন এক প্রৌঢ় রেলযাত্রী। রেলযাত্রীকে রক্ষা করায় ওই আরপিএফ জওয়ানদের প্রশংসা করেছেন এদিন সাধারণ যাত্রীরা। আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৪ টে নাগাদ ডাউন গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনের ৫ নং প্লাটফর্ম থেকে ছাড়তেই নিভা কুমারী নামে এক মহিলা আরপিএফ জওয়ান দেখতে পান চলন্ত ট্রেন থেকেই শৈলেন্দ্র চৌধুরি নামে ওই যাত্রী নামতে গিয়ে পরে গিয়ে ট্রেন ও প্লাটফর্মের মাঝখানে ঢুকে যাচ্ছিলেন। তৎক্ষণাৎ ওই মহিলা আরপিএফ কনস্টেবল নিভা কুমারী অন্য আর এক আরপিএফ কনস্টেবল যোগেশ কুমারের সহযোগিতায় দৌড়ে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। শৈলেন্দ্র চৌধুরি নামে ওই যাত্রীর আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানা গেছে। আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, শৈলেন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি বিহারের মধুবণী জেলার রঘুপুর-ইটাহার গ্রামে। তিনি মধুবণী থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিলেন। শৈলেন্দ্র চৌধুরি জানিয়েছেন, পেশায় তিনি একজন প্রাইভেট টিউটর। এদিন গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস ধরে ব্যাণ্ডেলের বাড়ি ফিরছিলেন। বর্ধমানে গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস ৫নং প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছিল। আর ৪নং প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে ছিল বর্ধমান হাওড়া মেন লাইন লোকাল। তাঁর বোঝার ভুলে তিনি তাই গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে লোকালে ট্রেনে চাপতে যান। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ায় তিনি টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে রক্ষা করেন। শৈলেন্দ্র চৌধুরি জানান, পরে যাওয়ার পর বেঁচে ফিরবো বলে ভাবিনি। এক প্রকার প্রাণ ফিরে পেয়েছি ওই মহিলা আরপিএফ কর্মীদের জন্য। আমাকে একপ্রকার দেবদূতের মতো এসে রক্ষা করেছেন আরপিএফ কর্মীরা। শৈলেন্দ্রবাবু জানিয়েছন, তিনি সুস্থই আছেন। সুস্থভাবেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও গতবছর ৫ অক্টোবর ‘মিশন জীবন রক্ষা’ এই প্রকল্পে বর্ধমানে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে এক মহিলা যাত্রীর প্রাণ বাঁচান এক আরপিএফ কর্মী। চলন্ত ডাউন পাটনা-হাওড়া জন শতাব্দী এক্সপ্রেস থেকে বর্ধমান রেলস্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামার সময় ঘটে এই বিপত্তি।
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …