মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বনাম সহ-সভাপতির লড়াইকে কেন্দ্রে করে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটে গেল ধন্ধুমার কাণ্ড। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের মধ্যেই জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সহ সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাছের লোকেদের টেন্ডার পাইয়ে দিতে চেয়েছিলেন সহসভাপতি গফফর মল্লিক। কিন্তু সভাপতি ময়না হালদার টুডু তাতে রাজি হননি। অভিযোগ, সেই ক্ষোভের কারণেই সভাপতিকে তার অফিসের মধ্যেই মারধর ও গালিগালাজ করেন সহসভাপতি ও তার অনুগামীরা। এমনকি সহসভাপতি তাঁকে জনজাতি বলে কটুক্তি করে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে সভাপতির অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার সভাপতি মেমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেমারী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু অভিযোগ করেছেন,পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি গফফার মল্লিক তাঁর কথামতো না চলার জন্য বিভিন্ন সময়ই হুমকি দিচ্ছিলেন। এদিন তিনি একটি কাজে কুচুট গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলে পঞ্চায়েতের প্রধানের অফিস ঘিরে ঠিকাদারদের বসে থাকতে দেখে তিনি প্রতিবাদ করলে পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। সেখান থেকে মেমারী ২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আসতেই সহসভাপতি ও তার অনুগামীরা অফিসেরই মধ্যেই তাঁকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এমনকি জনজাতি ও নিচুজাতি বলেও কটুক্তি করা হয়। পরে অফিস ও অন্যান্য সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসার পর মেমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার রাতেই ময়নাদেবী মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা সহ-সভাপতির স্ত্রী ডালিয়া খাতুন, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শেখ রহিম, জ্যোর্তিময় মন্ডলের নামে মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে কুচুট পঞ্চায়েতের প্রধান মদনমোহন দাস জানিয়েছেন, এলাকার পারিবারিক বিবাদ নিয়ে মিটিং চলাকালীন সভাপতি ময়না হালদার টুডু তাঁর দলবল নিয়ে এসে তাঁর সাথে উত্তেজিত হয়ে অন্যান্য সমস্যার সমাধান হয়নি কেন তার হিসাব চায় এবং তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শাসিয়ে বেড়িয়ে যান। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি মিথ্যে অভিযোগ। যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ তদন্ত করবে। জাতিগত বিদ্বেষ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে তিনি বা তাঁর অনুগামীরা দীক্ষিত। সমস্ত জাতিকে শ্রদ্ধা সম্মান করেন। জাতিগত বৈষম্য বিজেপি-সিপিআইএম করে তারা নয়।