জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- চালককে খুন করে লোহা বোঝাই ট্রেলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জামালপুর থানার পুলিস। ধৃতের নাম উপেন্দর রায়। বিহারের বক্সার জেলার নওয়ানগর থানার বিচলি ভোরৌলিতে তার বাড়ি। সোমবার সেখান থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ১৭ অক্টোবর দুর্গাপুরের একটি কারখানা থেকে লোহার অ্যাঙ্গেল বোঝাই করে ট্রেলারটি দক্ষিণ ২৪ পরগণায় যাচ্ছিল। ট্রেলারটি চালাচ্ছিলেন পিন্টু যাদব। ট্রেলারে খালাসি হিসাবে ছিলেন তাঁর ভাই বিশ্বকর্মা যাদব। দুর্গাপুরেই ৩ যুবকের সঙ্গে পিন্টুর পরিচয় হয়। তারা নিজেদের লরিচালক বলে পরিচয় দেয়। তারা পিন্টুকে কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলে। পিন্টু তাতে রাজি হয়ে যায়। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় রাত ৮টা নাগাদ খাবার খাওয়ার কথা বলে মশাগ্রাম ফ্লাই ওভারের কাছে লরিটিকে দাঁড় করানোর জন্য বলে ৩ জন। সেইমতো পিন্টু লরিটিকে দাঁড় করায়। বিশ্বকর্মা জল আনতে যায়। কিছুক্ষণ পর ট্রেলারে স্টার্ট দেওয়ার শব্দ শুনতে পান বিশ্বকর্মা। তড়িঘড়ি দৌড়ে এসে তিনি ট্রেলারে চেপে পড়েন। কিন্তু ট্রেলারে তিনি দাদাকে দেখতে পাননি। ট্রেলার থেকে ঝাপ দিয়ে তিনি নেমে পড়েন। স্থানীয় এক হোটেল মালিককে তিনি ঘটনার কথা জানান। হোটেলের মালিক কর্মীদের নিয়ে পিন্টুকে খুঁজতে বের হন। জাতীয় সড়কের পাশে ড্রেন থেকে পিন্টুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার বিষয়ে বিশ্বকর্মা জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পরেরদিন আঝাপুর হাইস্কুলের কাছ থেকে ট্রেলারটি উদ্ধার হয়। পিন্টুর মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিস রাজকিশোর রায় নামে বিচলি ভোরৌলির এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় উপেন্দরের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিস।