Breaking News

গরুর মাংস খাওয়া, গো হত্যাকে বিজেপি সমাজবিরোধী কাজ হিসাবেই দেখে – দিলীপ ঘোষ

BJP state president Dilip Ghosh was present at the Gopastami & Go-Puja. At Burdwan Town Hall

বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিদেশী গরুরু দাপটে দেশী গরুর জাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গীর প্রজাতির গরু পোষার প্রভাব বাড়ছে। দুধও বেশি। তার মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই বিদেশী গরু পুষছেন। কিন্তু আমাদের দেবতারা বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন না। কিন্তু অনেকেই ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন। ইংরাজী বউও পছন্দ করেন। অনেক নেতাও বিদেশী স্ত্রী নিয়ে এসেছেন। তারপরেই গোলমাল শুরু হয়েছে। তার ফলে অনেক নেতাদের জেলেও যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সমাজকে বিকৃত করবেন না। দেশী গরু পালন করুন। গো-পূজন কেবল পূজো নয়, গরু আমাদের পরিবারের সম্পদ। কিন্তু গরুরু প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরী করা হচ্ছে। কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খাচ্ছে অনেকেই। কে কি খাবেন তা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তাঁরা বাড়িতে গিয়ে খেতে পারেন। রাস্তায় কেন? যার মা মারা যায় সেও গরুর দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু গরুকে হত্যা করা, তার মাংস খাওয়াকে সমাজবিরোধী কাজ হিসাবেই আমরা দেখি। সেটাই দেখা উচিত। সোমবার বর্ধমান টাউন হলে রাজ্য ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গোপাষ্টমী ও মহোত্সবের দ্বিতীয় দিনে গোমাতাদের পুজো অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এভাবে গরু নিয়ে বিজেপির লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ। BJP state president Dilip Ghosh was present at the Gopastami & Go-Puja. At Burdwan Town Hall দিলীপবাবু এদিন বলেন, শ্রীকৃষ্ণ নিজে গরু চড়িয়েছেন, বাঁশি বাজিয়েছেন আর গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। ভারতবর্ষ গো-পালকদের দেশ। ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির সঙ্গে গোপালন ও পশু পালন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। শ্রেষ্ঠ ধন হিসাবে গো-ধনের কথা বলা আছে শাস্ত্রে। ভারতবর্ষের কৃষি গরু পালনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। জমিতে রাসায়নিক দিয়ে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। ভারতবর্ষেও রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। পরিবর্তে গোবর সার দিয়ে ব্যবহারকে বাড়াতে হবে। গরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়। গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরী হচ্ছে। কিন্তু অনেকে আছেন যাঁরা গরুরু নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। বিদেশী ভাবধারায় তাঁরা কুকুর পোষেন। কিন্তু গরু নয়। অনেকে বিদেশী গরু পোষেন। কিন্তু বিদেশী গরু গরুই নয়, একটা জন্তু মাত্র। ওই গরু হাম্বা করে ডাকেও না। যে গরু হাম্বা করে ডাকে না সেটা গরুই নয়। ওই গরুরু দুধ থেকে কোনো ঔষধী গুণও পাওয়া যায় না। দেশী গরুরু দুধে সোনা থাকে। সেজন্য দেশী গরুর দুধের রং সোনালী। বহু সাধু দেশী গরুর দুধ ও গঙ্গার জল খেয়েই বেঁচে রয়েছেন। এদিন টাউন হলে তিনদিনের এই অনুষ্ঠান ও যাগযজ্ঞের আয়োজন করে ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতি। সমিতির রাজ্য সভাপতি বাপ্পাদিত্য ঘোষ জানিয়েছেন, নদীয়ার ইসকন মন্দিরের সাধুদের দিয়ে তিনদিন ধরে গোমাতাদের পুজো, অর্চনা, নামগানের আয়োজন করা হয়। বিতরণ করা হয় ভোগ প্রসাদও।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *