Breaking News

ফের বর্ধমান হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন বন্ধ, দুর্ভোগে রোগীরা

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ফের খারাপ হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন। কিছুদিন আগে মেশিনটি খারাপ হয়। সপ্তাহ দুয়েক খারাপ হয়ে পড়েছিল সিটি স্ক্যান মেশিনটি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা মেশিনটি মেরামত করে দেয়। দিন দুয়েক চলার পর ফের সেটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। কেনার পর থেকেই বারবার মেশিনটি খারাপ হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগী ও পরিবারের লোকজনদের। বারবার মেশিন খারাপ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালে। মেশিন খারাপ হওয়ার জন্য হাসপাতালের টেকনিশিয়ান ও বেশি সংখ্যক সিটি স্ক্যান হওয়াকে দায়ী করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। যদিও তা মানতে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কেনার সময়ই সিটি স্ক্যান মেশিনের একটি টিউব খারাপ ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা তা চেপে যায়। তার থেকেই এই বিপত্তি। বারবার সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হওয়া নিয়ে এবার সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে উপরমহলে নালিশ জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মেশিন সরবরাহকারী সংস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ উৎপল দাঁ বলেন, একটি টিউব খারাপ হওয়ার জন্য বারবার সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হচ্ছে। এত দামি যন্ত্রে হিউমিডিটি কন্ট্রোল মেশিন থাকার কথা। কিন্তু, তা নেই। তাছাড়া, একটি টিউবও খারাপ রয়েছে। এটা সরবরাহকারী সংস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেখার কথা। বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। বারবার সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হওয়ায় রোগীদের ভূগতে হচ্ছে। আমাদেরও সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি উপরমহলে জানানো হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার উপরমহল থেকে খুব শীঘ্র ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে মেশিনটি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জাপানি সংস্থার তৈরি সিটি স্ক্যান মেশিনটি হাসপাতালে বসানো হয়। মেশিনটির দাম ৪ কোটি টাকা। জাপানি সংস্থাটি মেশিনটি দেখভালের জন্য অপর একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। বসানোর পর বেশ কয়েকবার মেশিনটি খারাপ হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাক সংস্থা মেশিন খারাপের জন্য কখনও ঘরে দরজা-জানালা ঠিক নেই, আবার কখনও টেকনিশিয়ানের ঘাড়ে দোষ চাপান। গড়ে প্রতিদিন এই সিটি স্ক্যান মেশিনে ১০০জন রোগীর সিটি স্ক্যান হয়। সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হওয়ায় রোগীদের অনাময় হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই দূরত্বের কারণে সেখানে যেতে চান না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা রোগীদের খোসবাগানের বিভিন্ন ল্যাবে নিয়ে যায়। বারবার মেশিন খারাপ হওয়ায় হাসপাতালের সঙ্গে দালালচক্র এবং খোসবাগানের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের যোগসাজশের অভিযোগ ওঠে। এর পিছনে অন্য খেলা আছে বলে অভিযোগ করেন রোগী ও পরিবারের লোকজনরা।

About admin

Check Also

Doctor Birupaksha Biswas was transferred to Kakdwip a year ago, did not go

এক বছর আগেই কাকদ্বীপে বদলি করা হয় চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে, যাননি; ক্যান্টিন মালিক আইনের পথে

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে এক বছর আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর বদলির নির্দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *