বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরে পা রাখল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরে এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁরা বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে রুট মার্চ শুরু করবেন। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে প্রতিদিনের হিসাব জমা দিতে না পারায় পূর্ব বর্ধমান জেলার তিন নির্বাচনী প্রার্থীদের নোটিশ ধরালো নির্বাচন কমিশন। পূর্ব বর্ধমান জেলার রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন,প্রার্থীদের দৈনন্দিন খরচের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল মণ্ডল, বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনের এসইউসিআই প্রার্থী সুচেতা কুণ্ডুকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ দলের কর্মীদের ওপরই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে সবটা তো দেখা সম্ভব নয়। এব্যাপারে দলের যে সব কর্মীদের তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁরাই ঠিকমত কাজ করেননি। তাই বৃহস্পতিবার তাঁকে রায়নার প্রচারের কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখেই ছুটে এসে নিজেকেই এই হিসাব দাখিল করতে হয়। অন্যদিকে বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তিনি নোটিশ পেয়েছে। তাঁর ইলেকশন এজেণ্ট এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু যে প্রোফর্মায় নির্বাচন কমিশন হিসাব দাখিল করতে চাইছেন সেটা করা হয়নি – এটা ঠিক। আগামী ২২ এপ্রিল এব্যাপারে হিসাব দেবেন। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনের এই নোটিশ নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এসইউসিআই–এর বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী সুচেতা কুণ্ডু। তিনি জানিয়েছেন, কার্যত নির্বাচন কমিশন এখন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোয় পরিণত হয়েছেন। যেখানে সাধারণ মানুষকে স্বাধীনভাবে ভোট দেবার নিশ্চয়তা দেবার কথা নির্বাচন কমিশনের। তাঁরা সেই দায়িত্বই পালন করতে পারছেন না। দুটি দফায় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলেন না। তা নিয়ে তাঁদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাঁরা বেশি নজরদারী করছেন প্রার্থীদের টাকার খরচের হিসাব নিয়ে। সুচেতা জানিয়েছেন, তাঁরা তো হিসাব দেবেনই। কিন্তু তা নিয়ে এতবেশি কড়াকড়ি করা হচ্ছে সেই কড়াকড়ি সাধারণ মানুষকে ভোট দেবার ক্ষেত্রে চোখে পড়ছে না। সংবাদ মাধ্যমরা আক্রান্ত হচ্ছেন বারবার। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২১ তারিখ তাঁরা এই হিসাব দাখিল করবেন। সুচেতা জানিয়েছেন, যথারীতি নিয়ম মেনেই তাঁর ইলেকশন এজেণ্ট ঝর্ণা পাল হিসাব দাখিল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সকাল ১০ টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত তিনি বসে থাকলেও তাঁর কাছ থেকে হিসাব নেওয়া হয়নি। কার্যত হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টি দেখা দরকার নির্বাচন কমিশনের। কেন আধিকারিকরা থাকবেন না তাও দেখা দরকার। এদিকে,জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুধু এটাই নয়, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টির প্রার্থী বিপ্লব মিস্ত্রী এবং বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী রামকৃষ্ণ মালিককেও হিসাব দাখিল না করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ভুল ফের করলে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tags Central force
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …