Breaking News

বামপন্থী কৃষক-শ্রমিক সংগঠনের জেলভরো আন্দোলনে পুলিশকে লাঠি মারল আন্দোলনকারীরা

বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মজুরী বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গোটা রাজ্য জুড়ে সিটু ও সারা ভারত কৃষক সভার ডাকা জেল ভরো আন্দোলনে কোণঠাসা হল বর্ধমানের পুলিশ। গোটা রাজ্যে সবটাই ঘাসফুলে ভরে গেছে – এমনটা যখন দাবী করা হচ্ছে সেই সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের রাজপথ দাপিয়ে গেল সিপিআই(এম) সমর্থকরা। এখনও যে বামেদের সংগঠন তলানিতে ঠেকলেও তাঁরা যে রয়েছেন এদিন সেই জানান দিল। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বর্ধমান ষ্টেশন থেকে বিশাল মিছিল বার হয়। মিছিল কোর্ট চত্বরে আসতেই সিপিএম সমর্থকরা হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে ছুটে যান পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে। একের পর এক পরপর দুটি ব্যারিকেডকেই তাঁরা রাস্তায় শুইয়ে দেন। পুলিশও পাল্টা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কার্যত এদিন বর্ধমান জেলা পুলিশ রীতিমত সংযম ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেন। উত্তেজিত বাম সমর্থকরা এদিন আইন অমান্য করতে গিয়ে হাতের লাল পতাকায় লাগানো লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। পাল্টা পুলিশও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। এই হুড়োহুড়ির সময়ই রাস্তায় পড়ে যান সিপিএমের রাজ্য নেতা অমল হালদার। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলতে থাকে বাম সমর্থকদের। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট শারদ্বতি চৌধুরী আইন অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার করার ঘোষণা করায় দলবেঁধে সিপিএম সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে গিয়ে উঠে পড়েন। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) নেতাকর্মীদের মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসাকে কেন্দ্র করে কোর্ট চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ, সিপিএম সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থক এই ত্রয়ীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আগের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এদিন প্রস্তুত রাখা হয় জলকামানও। মোতায়েন করা হয় ব্যাপক পুলিশ বাহিনীও। অপরদিকে, এদিন সিপিএম আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করার পর তিনটি গাড়িতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান শহরের স্পন্দন কমপ্লেক্সে। স্পন্দন কমপ্লেক্সে সেই সময় বর্ধমান শহরের দুটি ক্লাব কল্পতরু বনাম বাবুরবাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা। আচমকা সেখানে পুলিশ সিপিএম নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ায় খেলা শুরু বন্ধ হয় যায়। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আন্দোলনকারীদের স্পন্দন কমপ্লেক্স থেকে বার করে নিয়ে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়।

About admin

Check Also

Doctor Birupaksha Biswas was transferred to Kakdwip a year ago, did not go

এক বছর আগেই কাকদ্বীপে বদলি করা হয় চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে, যাননি; ক্যান্টিন মালিক আইনের পথে

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে এক বছর আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর বদলির নির্দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *